Advertisement
E-Paper

স্নাতকে পরীক্ষা, ফর্ম পূরণেও ধাক্কা ভোটের

কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট হবে ১৯ মে। ২৩ মে বেরোবে নির্বাচনের ফল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৩০
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

প্রায় প্রতিটি ভোটেই বিভিন্ন স্তরের পরীক্ষার্থীদের নাকাল হতে হয়। এ বারেও হয়রানি এড়ানো যাচ্ছে না বলে শিক্ষা শিবিরের পর্যবেক্ষণ।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে দ্বিতীয় সিমেস্টারের ইন্টারনাল পরীক্ষা নেওয়া এবং ওই সিমেস্টারের লিখিত পরীক্ষার ফর্ম পূরণের দিনক্ষণ নিয়ে আপত্তি তুলেছে বেশ কিছু কলেজ। ভোটের জন্য এই কাজে অসুবিধা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে তারা। তার জেরে কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনের দিন এবং তার আগের ও পরের দিন কোনও পরীক্ষা নেওয়া হবে না।

কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট হবে ১৯ মে। ২৩ মে বেরোবে নির্বাচনের ফল। বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের বক্তব্য, শুধু ভোটের দিনেই যে কাজে অসুবিধা হবে, তা তো নয়। কলেজে বুথ হলে ভোটের বেশ কিছু দিন আগেই নির্বাচন কমিশন ভবন নিয়ে নেয়। নিরাপত্তা বাহিনীও আগে থেকে থাকতে শুরু করে। ইন্টারনাল পরীক্ষা ৮ থেকে ৩০ মে-র মধ্যে নিতে বলা হয়েছে। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় বিশ্ববিদ্যালয়কে জানান, তাঁর কলেজে বুথ হচ্ছে। ১৩ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত কলেজ ভবন নিচ্ছে কমিশন। ভোটের কাজে চলে যাচ্ছেন অধিকাংশ শিক্ষাকর্মী। এই অবস্থায় ইন্টারনাল পরীক্ষা নেওয়া এবং দ্বিতীয় সিমেস্টারের লিখিত পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করা অসুবিধাজনক।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কলা এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ওই ফর্ম পূরণের দিন ধার্য করেছে ৮ থেকে ১৩ মে। বাণিজ্য বিভাগের জন্য ১১ থেকে ১৭ মে। অনলাইনে ফর্ম পূরণ হলেও পড়ুয়ারা কলেজে এসে ফর্মে সই করেন। পরীক্ষার ফি ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে কলেজকে হাতে হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফর্ম পেশ করতে হয়। কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য তার শেষ দিন ১৭ মে। বাণিজ্য বিভাগের জন্য ২৭ মে। পঙ্কজবাবু বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যা নির্দেশ, তাতে আমাদের পক্ষে সব কিছু ঠিকঠাক করা প্রায় অসম্ভব।’’ দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজের অধ্যক্ষ জানান, তাঁদের বেশ কিছু শিক্ষাকর্মী ভোটের কাজে চলে যাবেন। তাঁদের কলেজে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে জানিয়েছে লালবাজার। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী সব কিছু ঠিক সময়ে করতে অসুবিধা হচ্ছে। ওই অধ্যক্ষের বক্তব্য, দ্বিতীয় সিমেস্টার শুরু হয়েছে জানুয়ারিতে। মে মাসের প্রথম থেকেই পরীক্ষার ফর্ম পূরণের তোড়জোড়ের ফলে পঠনপাঠনের সময় কমে যায়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ামক জয়িতা দত্তগুপ্তের দাবি, দিনক্ষণ যে-ভাবে স্থির করা হয়েছে, তাতে সব কিছু সুষ্ঠু ভাবেই হওয়ার কথা। নির্বাচনের দিন এবং তার আগের ও পরের দিন কোনও পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে এ দিন বিজ্ঞাপ্তিও জারি করেছেন তাঁরা।

University of Calcutta Politics Lok Sabha Election 2019
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy