জেলে ছিলেন মাত্র দেড় বছর। কিন্তু ওই দেড় বছর তাঁকে শিখিয়েছে অনেক কিছু। এখন জেলের বন্দিদের কর্মমুখী করতে তাই ফের জেলমুখী লাভলি।
আলিপুর মহিলা জেল থেকে বেরিয়ে লাভলি অধিকারী ফিরে গিয়েছেন দমদম সেন্ট্রাল জেলে। এ বার অন্য ভূমিকায়। সেখানকার বন্দিদের পাটের জিনিসপত্র তৈরির ‘দিদিমণি’ এখন লাভলিই। যদিও ন্যাশনাল জুট বোর্ডের প্রশিক্ষক বন্দিদের পাটের তৈরি জিনিসপত্র তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। কিন্তু তার পরে সেই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ এখন লাভলিরই কাঁধে। আর তাঁর কাজ নিয়ে জেল সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী থেকে শুরু করে ‘রক্ষক ফাউন্ডেশন’-এর চৈতালী দাস— সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
মাত্র দেড় বছর আগে শ্বশুর খুনের ঘটনা লাভলির জীবন আকাশ-পাতাল পাল্টে দিয়েছিল। তখন নিজের হাতে ‘বুটিক’ চালাতেন। কিন্তু জেলে যাওয়ার পরে সে সবই লাটে ওঠে। কিন্তু তাতে দমে যাননি লাভলি। জেলে গিয়ে বন্দিদের সঙ্গে ছবি আঁকার কাজ শুরু করেন। ভর্তি হয়ে যান ইংরেজি শেখার ক্লাসেও।