সুরক্ষা নিশ্ছিদ্র করতে মোবাইল নিষিদ্ধ, ৪৩টি ব্লকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্ন বেরিয়ে যাওয়া আটকাতে পারল না মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার মাধ্যমিকের প্রথম দিনে বাংলা পরীক্ষা চলাকালীন হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্রের দু’টি পাতা বেরিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বাগডোগরা পরীক্ষা কেন্দ্রের শুভমায়া এসএন হাইস্কুলে বহিরাগত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৯টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়। এ দিনের পরীক্ষা বাতিল হয় ১৮ জনের।
গত বছর শুধু শেষ দিনের পরীক্ষা ছাড়া প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নের একাংশ হোয়াটসঅ্যাপে বেরিয়ে গিয়েছিল। শেষ দিনের পরীক্ষার আগে কিছু জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়। এ বার যাতে প্রশ্ন না-বেরোয়, সেই জন্য প্রথম দিন থেকেই মুর্শিদাবাদ, মালদহ, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, বীরভূমের মতো কিছু জেলার ৪৩টি ব্লকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, শুধু পরীক্ষার্থী নয়, শিক্ষকদেরও মোবাইল ও স্মার্ট ঘড়ি নিয়ে পরীক্ষা হলে ঢোকা নিষিদ্ধ।
এত পদক্ষেপের পরেও প্রশ্ন বেরোনো ঠেকানো যায়নি। অভিযোগ, বাংলা পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টার কিছু পরে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নের চার ও পাঁচ নম্বর পাতা বেরিয়ে যায়। কলকাতা-সহ কিছু জেলায় পাতা দু’টি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পরীক্ষার শেষে সেগুলির সঙ্গে মূল প্রশ্নের চার ও পাঁচ নম্বর পাতা মিলিয়ে দেখা যায়, হুবহু মিল! কোথাও কোথাও অভিযোগ ওঠে, বাংলার পুরো প্রশ্নপত্রই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।