বিক্ষোভ এবং অনুযোগ সামলাতে ময়দানে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। ১০০টি চিঠি দেওয়ার পরেও তাঁর বিধানসভা এলাকায় রাস্তা মেরামতের কাজ না হওয়াতেই ওই ক্ষোভের বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক। তাঁর ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সকালে মমতা স্বয়ং ফোন করেন গৌতমকে। তাঁর ক্ষোভের কারণ জানতে চান। দলনেত্রীকে ক্ষোভের কথা জানানোর পাশাপাশি দার্জিলিং তথা উত্তরবঙ্গের রাজনীতি নিয়েও গৌতমের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয় মমতার।
গৌতমের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, দলনেত্রীকে গৌতম জানিয়েছেন, তিনি কখনওই দল বা সরকার বিরোধী কথা বলেননি। তাঁর মন্তব্যের ‘অপব্যাখ্যা’ করেছে সংবাদমাধ্যম। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের ধারণা ছিল, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ‘গাফিলতি’র কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতেই প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন গৌতম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় গৌতম কারও সঙ্গে কোনও অভ্যন্তরীণ বিবাদের কথা বলেননি। শনিবার পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার একটি মন্তব্যকে সংবাদমাধ্যম একটু বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলেছে। আমার দলের প্রতি ক্ষোভ-বিক্ষোভ নেই। আমি দলের প্রথম দিনের সৈনিক। যতদিন রাজনীতিতে থাকব, ততদিন একই প্ল্যাটফর্মে থেকে কাজ করার চেষ্টা করব। সকালে দিদির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অহেতুক জল্পনা-কল্পনা তৈরি হচ্ছে। যেগুলোর কোনও ভিত্তি নেই।’’
মমতার আগে গৌতমকে ফোন করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। তাঁর সঙ্গেও গৌতমের দীর্ঘক্ষণ কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাপ্রবাহ বলছে, শতাব্দী রায়ের ক্ষোভ প্রশমনের পর অন্য নেতা-নেত্রীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভে রাশ টানতে তৎপরতা বাড়িয়েছে তৃণমূল।