মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালির ঘটনা ‘তিলকে তাল’ করে দেখানো হয়েছে। প্রথমে ইডি এবং পরে তাদের ‘বন্ধু’ বিজেপি গিয়ে সেই গোলমালে ইন্ধন দিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বীরভূমের সিউড়িতে প্রশাসনিক অনুষ্ঠানে সন্দেশখালি নিয়ে আবারও কেন্দ্রের শাসকদলকে কাঠগড়ায় তোলেন মমতা। ইডি এবং বিজেপি যে এই ঘটনায় যুক্ত, সে কথাও উঠে এসেছে তাঁর বক্তৃতায়।
তিনি বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে একটা ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা ঘটানো হয়েছে। প্রথমে ইডি-কে পাঠিয়েছে। তার পর তাদের বন্ধু বিজেপি ঢুকেছে। তিলকে তাল করা হয়েছে। শান্তির পরিবর্তে আগুন লাগাচ্ছে। আমি অফিসার পাঠাব, যার যা অভিযোগ আছে, বলবেন। কেউ যদি কিছু নিয়ে থাকে, সব ফেরত দেওয়া হবে।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘আজ পর্যন্ত কোনও মহিলা কোনও অভিযোগ করেননি। আমি পুলিশকে বলি, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করতে। আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার হয়েছেন। আমি কিছু বললে, করে দেখাই। ভাঙড়ে আরাবুলও তো গ্রেফতার হয়েছে। ও তো আমাদের কর্মী! তোমরা কত জনকে গ্রেফতার করেছ?’’ গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহান শেখের বাড়িতে ইডির তল্লাশি করতে যাওয়া এবং আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আর দেখা মিলছিল না তাঁর। শিবু হাজরা তার পর থেকে অধরা ছিলেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি শিবু, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে গর্জে ওঠে সন্দেশখালি। ভাঙচুর চলে জেলা পরিষদের সদস্য তথা তৎকালীন অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি উত্তমের বাড়িতে। পরদিন ভাঙচুর চলে শিবুর বাগানবাড়ি এবং মুরগির খামারে। আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই শিবুকে ১০ দিনের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ। তবে সন্দেশখালির মহিলারা বলছেন, তাঁরা শাহজাহানের গ্রেফতারির অপেক্ষায়।
নিজের প্রশাসনিক পদক্ষেপ হিসেবে সিউড়ির সভায় মমতা বলেন, “আমি পুলিশের টিম পাঠাব। যা অভিযোগ তাঁদের বলবেন। আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্টরা অ্যারেস্ট হয়েছেন। কোনও অভিযোগ হয়নি। আমি সুয়োমোটো করতে বলেছি। আমি কি পারি না গদ্দারদের অ্যারেস্ট করতে ! একটু ছাড় দিয়ে রেখেছি।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘একটু সময় দিচ্ছি। সুতো ছাড়ছি। গদ্দারদের সব চুরি, দুর্নীতির মামলা... সবাইকে বলে চোর। ওরা চোরেদের ঠাকুরদা। মায়েরা বলেন, শূন্য কলসি বড্ড বাজে বেশি। এরা হচ্ছে শূন্য কলসি। কিচ্ছু নেই। দিল্লি ‘হ্যাঁ’ বললে ধিতাং ধিতাং বলে নৃত্য করে। ‘না’ বললে মনখারাপ করে ঘরে বসে থাকে। দিল্লির দয়ায় রাজনীতি করে। বাংলাকে ভালবাসে না। এরা বাঙালিবিরোধী, মহিলাবিরোধী, দলিতবিরোধী, কৃষকবিরোধী।’’ রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, এমন কথা বলে তিনি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy