বিজেপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সুবিদিত। গত লোকসভা ভোটে বিজেপি-র প্রার্থী বাছাইয়ে পর্যন্ত ভূমিকা ছিল তাঁর। অথচ কালো টাকা প্রশ্নে অমিত শাহরা যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রমণ শানাচ্ছেন, তখন কলকাতা সফরে এসে তৃণমূল নেত্রীর সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করলেন যোগগুরু রামদেব।
রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে শনিবার দেখা করেন এই যোগগুরু। রাজভবন থেকে তিনি বেরনোর পর মমতা সম্পর্কে বিজেপি-র সমালোচনা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে রামদেব বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কালো টাকা রয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। এ-ও মনে করি না, উনি কালো টাকার পক্ষে লড়ছেন। নোট বাতিলের প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নিয়েই উনি অসন্তুষ্ট বলে মনে হচ্ছে।’’ এখনও না থেমে রামদেব বলেন, ‘‘মমতাজি দু’শো টাকা দামের শাড়ি পরেন, পায়ে হাওয়াই চটি। জীবন যাপনও এক্কেবারে সাদাসিধে। ওঁর সততা, নিষ্ঠার প্রশ্নে কোনও দিনই আমার সন্দেহ ছিল না, আজও নেই।’’
মোদী-বিরোধী আন্দোলনে ইদানীং মমতা খুবই সক্রিয়। সে বিষয়েও মত জানতে চাওয়া হয়েছিল রামদেবের কাছে। এ ক্ষেত্রেও তৃণমূল নেত্রী সম্পর্কে ইতিবাচক জবাবে যোগগুরু বলেন, ‘‘জাতীয় রাজনীতিতে আরও
প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার ইচ্ছা কারও থাকতেই পারে। এক জন চা-ওয়ালার ছেলে যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বা পারবেন না কেন?’’
রামদেবের মুখে তৃণমূল নেত্রীর এ হেন প্রশংসা শুনে বিজেপি নেতারাই কিছুটা হতবাক হয়ে গিয়েছেন। এমনকী, বিজেপি নেতাদের কেউ কেউ ঘরোয়া আলোচনায় এ দিন এ-ও বলেন, মমতার সমালোচনা করলে পাছে বাংলায় ওঁর ব্যবসা মার খায়, সেই কারণেই হয়তো ভোল পাল্টেছেন বাবাজি। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ‘‘উনি ওঁর মত বলেছেন। কিন্তু রামদেব বাবা কোথায় কী বললেন, তাতে কি রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত পাল্টে যাবে? ওঁর অবস্থান অবশ্য দ্রুতই পরিবর্তনশীল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy