নেত্রী: প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
সাধারণ মানুষকে বারবার না ঘুরিয়ে প্রশাসনকে ‘সহৃদয়’ হয়ে তাঁদের কাজ করে দিতে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বোলপুরে বীরভূম জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার হাল হকিকতের খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশ, ‘‘সরকারি অফিসে এসে মানুষকে যেন হয়রানির শিকার হতে না হয়।’’ একই সঙ্গে জেলার বালি ও পাথর কারবারে পুলিশ এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের একাংশ যুক্ত বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে মমতা জানিয়ে দেন, প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সে-সব আর বরদাস্ত করা হবে না। তাঁর কথায়, ‘‘মনে রাখবেন, কারও এক টাকা নেওয়ার অধিকার কিন্তু নেই।’’ সম্প্রতি রাজ্য সরকার জমি কেনাবেচার পরে অটো মিউটেশন ব্যবস্থায় পরচা রেকর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সূত্রেই ভূমি দফতরের ঘুঘুর বাসার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘‘সামান্য মিউটেশন করাতে এলে বারবার মানুষকে ঘুরতে হচ্ছে। তফসিলি জাতি-জনজাতি সার্টিফিকেট পেতেও অফিসে অফিসে ঘুরতে হচ্ছে ছেলে মেয়েদের। এ সব আর চলবে না।’’ জানিয়ে দেন, ভূমি সংস্কার দফতরে বড়সড় ‘সংস্কার’ তিনি করতে চলেছেন। ‘‘তখন সব বন্ধ হবে,’’—মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: চাষির জন্য ১০ হাজার কোটি, বোলপুরে ঘোষণা মমতার
বৈঠকে বালি ও পাথর খাদানের পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুর কাছে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক জানান, অনেক ক্ষেত্রে নকল চালান দেখিয়ে বালি-পাথরের লরি চলে যাচ্ছে। তা বন্ধ করতে ই-চালান চালু করা হয়েছে। ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে বালিঘাটের উপরে নজরদারি চালানো হচ্ছে। বালিঘাটগুলিতেও ক্যামেরা বসিয়ে তার নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে থানা এবং বিএলএলআরও অফিসে। শুনেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ কী করেছেন! বিএলএলআরও অফিস আর পুলিশের কিছু লোকই তো এই সবে যুক্ত! ওরা ক্যামেরায় কী হচ্ছে জেনে নিয়ে তো ডিল করে নেবে। নিজে দেখুন এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy