E-Paper

আইনি পদক্ষেপ ঠিকাদার কাজ না করলে, বার্তা

মমতার অভিযোগ, এমন অনেক ঠিকাদার রয়েছেন, যাঁরা একই জেলায় একাধিক সরকারি প্রকল্পের কাজ পাচ্ছেন। সেই সব ঠিকাদারদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৮
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিভিন্ন দফতর এবং জেলা প্রশাসনগুলিকে নিয়ে জল জীবন মিশনের অগ্রগতি সংক্রান্ত বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই তাঁর নির্দেশ, যে ঠিকাদারদের গাফিলতিতে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “যে ঠিকাদারেরা কাজ করছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে হবে, নষ্ট হওয়া টাকা উদ্ধার হবে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এ ব্যাপারে আইন করা হোক।”

মমতার অভিযোগ, এমন অনেক ঠিকাদার রয়েছেন, যাঁরা একই জেলায় একাধিক সরকারি প্রকল্পের কাজ পাচ্ছেন। সেই সব ঠিকাদারদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে একটি পদ্ধতি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে এমন ধরনের ঠিকাদারদের চিহ্নিত করা যায়। জনস্বাস্থ্য কারিগরি, পূর্ত, পঞ্চায়েত, কৃষি, বিদ্যুৎ দফতরে এমন কত জন ঠিকাদার রয়েছেন, সেই তালিকা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সূত্রেই টেন্ডার নীতি বদলে ফেলার কথাও বলেছেন মমতা। তাঁর কথায়, “টেন্ডারের বিধিগুলি বদলে ফেলতে হবে। যে কেউ সেখানে আবেদন করতে পারবেন। সঙ্গে যে নির্মাণ হবে, তা পাঁচ বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে তাঁকেই।” এরই সঙ্গে সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্টগুলি (ডিপিআর) পুনর্যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ঠিকাদার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ নিজেদের পকেট ভরতে এ সব করছেন। ৯০ লক্ষ মানুষ জলের সংযোগ পেয়েছেন বলা হচ্ছে। সত্যিই কি তাঁরা তা পেয়েছন? নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করাতে হবে।”

মমতা জানান, ২১ হাজার জল চুরির অভিযোগ পেয়েছে সরকার। ৫০০টি এফআইআর হয়েছে। তাঁর দফতরে যে ১১ হাজার ২০০ অভিযোগ গিয়েছিল, তার ১১ হাজারের নিষ্পত্তি হয়েছে। ৩৭৩টি সংস্থাকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হয়েছে। চুক্তি বাতিল করা হয়েছে ১১২টি। ২৩ জন আধিকারিককেও শো-কজ় করা হয়েছে। মমতার কথায়, “অনেক ঠিকাদার এমন রয়েছেন, যাঁরা কাজ শেষের আগেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। এটা চলবে না। কাজ শেষের পরে চূড়ান্ত শংসাপত্র পেলে তবে টাকা দেওয়া হবে।”

সরকারি জমিতে পাইপ বসানো এবং পাম্প-হাউসগুলিতে অপারেটর নিয়োগ নিয়ে স্থানীয় স্তরে একাধিক সমস্যার কথা মন্ত্রী ও আধিকারিকদের একাংশ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে। মমতার নির্দেশ, জনপ্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে এ সব করতে হবে। নির্দিষ্ট বিধি তৈরি করবে ভূমি দফতর। তিনি বলেন, “সাত দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হলে সরকারই কাজ করে দেবে।” তাঁর বার্তা, “গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, পুরসভা—কেউই করবে না। কেন্দ্রীয় ভাবে কমিটি হবে। জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের মাধ্যমে তা পরিচালিত হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mamata Banerjee West Bengal government Contractors

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy