ফাইল ছবি
বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনেই পায়ে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে প্লাস্টার ও পরে ব্যান্ডেজ নিয়েই ভোটের প্রচার পর্ব সেরেছেন। বৃহস্পতিবার সেই পা স্ক্যান করালেন মমতা। নিজেই সে কথা জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মমতা এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ত্রিপুরায় গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা জয়া দত্ত, সুদীপ রাহারা ওই হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। মমতা তাঁদের দেখতে গিয়েছিলেন। তারই ফাঁকে নিজের পা-ও চিকিৎসকদের দেখান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘সুদীপদের দেখতে এসেছিলাম। ওর শরীরটা একটু খারাপ হয়েছে। আমার বোনও ভর্তি রয়েছে। ওকেও দেখে গেলাম। আর আমার পা-টাও একবার দেখানোর ছিল। স্ক্যান করালাম।’’ চিকিৎসকরা কী জানিয়েছেন বা কোনও পরামর্শ দিয়েছেন কি না সে ব্যাপারে অবশ্য কিছু বলেননি মমতা।
গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজার এলাকায় পায়ে আঘাত পান মমতা। জখম অবস্থায় কলকাতায় ফিরে ভর্তি হয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালেই। কয়েক দিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসার পরে হুইলচেয়ারে বসে প্রথম কলকাতার পথে নামেন। এর পরে গোটা প্রচার পর্ব হুইলচেয়ারেই কাটাতে হয় মমতাকে। দীর্ঘ ভোগান্তির পরে মমতাকে হুইলচেয়ার ছাড়া প্রথম দেখা যায় ২ মে সন্ধ্যায়। ভোট গণনার প্রায় শেষ লগ্নে তত ক্ষণে তৃতীয় বারের জন্য মমতার মুখ্যমন্ত্রিত্বে ফেরা নিশ্চিত।
ভোটের সময় মমতার পা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। পা ঠিক হয়ে যাওয়া সত্বেও তিনি প্লাস্টার কাটেননি বলেও আক্রমণ করে গেরুয়া শিবির। ভোট পর্বের প্রায় শেষের দিকে ২৫ এপ্রিল মমতা বলেছিলেন, ‘‘পায়ে চোট থাকা সত্ত্বেও এক মাস ২০-২২ দিন আমি কিন্তু রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বেরিয়েছি। এখন আমার পা-টা ভাল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যে হেতু বাড়িতে যেতে পারছি না, তাই প্লাস্টার কাটতে পারছি না। যে হেতু টানা ১০ দিন বাইরে আছি, বাড়ি ফিরেই এটা করতে হবে।’’ বিজেপি যেমন তাঁর পায়ের চোট নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি, তেমন মমতা নিজেই ভাঙায় পায়ের প্রসঙ্গ টানতেন প্রায় সব প্রচার সভাতেই। বলেন, ‘‘আমার একটা পা তো কী হয়েছে? আমার মা-বোনেদের দুটো করে পা, আমি তো মা-বোনেদের পা দিয়ে হাঁটি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy