মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।
দলে ‘বিশৃঙ্খলা’ তৈরির চেষ্টা রুখতে হুগলির কতিপয় তৃণমূল নেতা ও বিধায়ককে কঠোর ভাষায় ভর্ৎসনা করলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার তাঁদের উদ্দেশে জানিয়ে দেন, দলে থাকতে গেলে শৃঙ্খলা মেনেই থাকতে হবে। দল সম্পর্কে যা খুশি, তা-ই বলে বেড়ালে এখানে জায়গা হবে না। কড়া ধমক দিয়েছেন যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
হুগলি জেলার দলীয় সংগঠন নিয়ে বৈঠক সোমবার বসেছিল অভিষেকের দক্ষিণ কলকাতার অফিসে। কিছু দিন ধরেই দুই বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, বেচারাম মান্না, মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত ও সাংসদ অপরূপা পোদ্দার প্রমুখের বিভিন্ন মন্তব্যে দলের অন্দরে বিতর্ক তৈরি হচ্ছিল। তার ফলে হুগলিতে দলের সাংগঠনিক কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল বলেও উপর তলার নেতৃত্বের কাছে খবর আসতে থাকে। ভোটের আগে এই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য জেলার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এ দিন কলকাতায় ডাকা হয়। বৈঠকে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরও উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকেই অভিষেক ফোনে মমতাকে ধরেন। যাঁরা শৃঙ্খলা ভাঙছেন, তৃণমূল নেত্রী তীক্ষ্ণ ভাবে তাঁদের ভর্ৎসনা করেন। যাঁরা বর্তমানে বিধায়ক, তাঁদের উপরে যে দলনেত্রী বিশেষ নজর রাখছেন, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। দলের অনেকের মতে, তাঁদের টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সব বিষয় বিবেচিত হতে পারে।
প্রবীরবাবু সম্প্রতি হুগলিতে দলের শুদ্ধকরণ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছিলেন। জেলায় দলীয় কমিটি তৈরিতে বিলম্ব হচ্ছে বলেও ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, তাঁর এই সমালোচনার লক্ষ্য তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। তবে এ সব মন্তব্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেছেন উপর তলার নেতারা। তারই জের টেনে অভিষেক প্রবীরবাবুকে সতর্ক করে বলেন,
দলে শুদ্ধকরণ হচ্ছে কি না, তা কি তিনি ঠিক করবেন? ফোনে এ সব নিয়ে তৃণমূল নেত্রীও তাঁর উষ্মা গোপন করেননি। জেলার দলীয় সভাপতি, বিধায়ক, সাংসদদের নিয়ে একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবেন। রাজ্য নেতৃত্ব দ্রুত নীচের তলার কমিটি চূড়ান্ত করবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে প্রবীরবাবু অবশ্য জানান, বৈঠকে তাঁর নাম কেউ বলেননি। তাঁকে ‘ভর্ৎসনা’ও করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy