শিল্পের মঞ্চে অসহিষ্ণুতার খোঁচা!
লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বক্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে লগ্নি আহ্বানের বার্ষিক উৎসব বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (বিজিবিএস)-এ মঙ্গলবার এভাবেই রাজনৈতিক রঙ লাগল। যে উৎসব অবশ্য ‘রাজনৈতিক’ কারণেই বয়কট করেছে নরেন্দ্র মোদীর দল। রাজ্যের আমন্ত্রণের পরেও এ বার আসেননি কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
দিল্লির ছোঁয়াচ এড়ানো মঞ্চে মুকেশ অম্বানী, লক্ষ্মী মিত্তল, সজ্জল জিন্দলদের পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বাংলায় শিল্পের জন্য সওয়াল করেছেন। আর তা করতে গিয়েই মোদীকে দিয়েছেন মোক্ষম খোঁচা।
শিল্পপতি উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘আমাদের সহিষ্ণুতা আছে! যদি শিল্পপতি আর শিল্প সংস্থার প্রতিই সহিষ্ণুতা দেখাতে না পারি, তা হলে কীই বা বাকি থাকল?’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি সব সময় জনতার কথা বলি। যদি কখনও দেখি শিল্পপতিরাও কষ্টে রয়েছেন, সে কথাও তুলে ধরি।’’ তার পরেই তাঁর দাবি, এ রাজ্যে মানুষে মানুষে বিভেদ নেই। কারও প্রতি কোনও বৈষম্যও করা হয় না।
আরও পড়ুন: শুরুতে ১৭ হাজার কোটি, সঙ্গে প্রশস্তিও
আগামী দু’মাসে উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, অসমের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে শিল্প সম্মেলন হবে। সেখানে কেন্দ্রের অংশগ্রহণও হবে চোখে পড়ার মতো। এই পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বলতে চেয়েছেন, যে সব রাজ্যে গো-রক্ষার নামে তাণ্ডব চলে, ধর্মের ভিত্তিতে সমাজকে ভাগ করা হয়, সেখানে লগ্নি করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। অসহিষ্ণুতার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর নীতিরও ঘুরিয়ে বিরোধিতা করতে ছাড়েননি মমতা।
সরাসরি না হলেও জিএসটি, নোটবাতিলের জেরে শিল্পপতিরা যে সমস্যায় পড়েছেন সে প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কখনও কখনও শিল্পপতিরাও সমস্যায় পড়েছেন। আমি তাঁদের পরিস্থিতি অনুভব করি। তাঁদের সমস্যার কথা বলিও বার বার।’’ আচমকা নোটবাতিল বা তাড়াহু়ড়ো করে জিএসটি চালুর নিয়েও কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন আড়াই হাজার শিল্প-প্রতিনিধিকে সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy