E-Paper

৬ বাগান ‘নেবে’ রাজ্য, ধন্দ বাছাইয়ে

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চা বাগানের জমি নীতি ঘোষণা করেছেন। পরে নিশ্চয় সুস্পষ্ট নির্দেশ আসবে।” গত লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছিল, এই এলাকার পাঁচটি চা বাগান অধিগ্রহণ করা হবে।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৫২
মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ডুয়ার্সের বানারহাটে।

মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ডুয়ার্সের বানারহাটে। ছবি: সন্দীপ পাল।

ছ’টি বন্ধ চা বাগান রাজ্য সরকার ‘নেবে’ বলে সোমবার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বানারহাটের সভা থেকে এই ঘোষণার পরে প্রশাসনেই আলোচনা শুরু হয়েছে যে, এই বন্ধ বাগান ছ’টি আসলে কোনগুলি?

সব চা বাগানের উদ্বৃত্ত জমি নিয়ে, সে জমিতে পাট্টা দেওয়ার রাজ্য সরকারি সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ছ’টি চা বাগান, যেগুলি বন্ধ আছে, সেগুলি আমরা নেব। বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের এই মাস থেকেই দেড় হাজার টাকা করে দিতে বলেছি।” প্রশাসন সূত্রে খবর, শীতের মরসুমে জলপাইগুড়ি জেলায় বন্ধ চা বাগান কম-বেশি পাঁচটি। ধুঁকতে থাকা চা বাগান ধরলে সংখ্যাটি আরও বেশি। আলিপুরদুয়ার এবং শিলিগুড়ির তরাই এলাকা ধরলে সংখ্যাটি আরও বাড়বে। রাজ্যে কম-বেশি ১৭টি চা বাগান বন্ধ অথবা ধুঁকছে বলে শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি। তাই কোন ছ’টি চা বাগানের কথা মুখ্যমন্ত্রী বলতে চেয়েছেন, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেনি প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চা বাগানের জমি নীতি ঘোষণা করেছেন। পরে নিশ্চয় সুস্পষ্ট নির্দেশ আসবে।” গত লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছিল, এই এলাকার পাঁচটি চা বাগান অধিগ্রহণ করা হবে। পরে টি বোর্ড অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও তা হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ফলও তেমনই হবে না তো? জেলা প্রশাসন এবং ভূমি দফতরের রাজ্যের আধিকারিকদের অবশ্য দাবি, বন্ধ বাগানকে রাজ্য অধিগ্রহণ করতে পারে।

এ দিনের সভা থেকে তিন হাজার চা শ্রমিককে পাট্টা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বন্ধ চা বাগান খোলা নিয়ে বিজেপিকে বিঁধেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগের বার ভোটের সময়ে পাঁচটি চা বাগান খুলবে বলেছিল, কোথায় গেল?” বিজেপির জলপাইগুড়ি সাংসদ জয়ন্ত রায় পাল্টা বলেন, “চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি এখনও চালু করতে পারেনি রাজ্য সরকার।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Tea Garden Mamata Banerjee

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy