ফাইল চিত্র
শহরের ইতিউতি চোখে পড়ে যাত্রী প্রতীক্ষালয়। এ বার সেই চিত্র চোখে পড়তে পারে রাজ্য সড়কগুলিতে। তেমনই নির্দেশ দিয়েছে পূর্ত দফতর। প্রথম দফায় ছ’টি যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই প্রতীক্ষালয় কেমন ভাবে তৈরি হবে, তার নকশাও ছকে দিয়েছে পূর্ত দফতর। বিশ্ব বাংলার ছবির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও সেখানে থাকবে। নীল-সাদা রাঙানো প্রতীক্ষালয়ের একটি পাশে ‘ব’-এর ব্যবহারও থাকছে। পরিকাঠামো নির্মাণ, আলো এবং সৌন্দর্যায়ন মিলিয়ে প্রতিটির খরচ ধরা হয়েছে ৭,৯৬,৩৫৭টাকা। প্রত্যেকটি প্রতীক্ষালয়ে ২০ জন যাত্রী বসতে পারবেন।
কিছু দিন আগে মাসিক মূল্যায়ন বৈঠকে রাজ্য সড়কে যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন দফতরের কর্তারা। দরপত্রের প্রক্রিয়াও শুরু নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত তাতে অগ্রগতি হয়নি বলে নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ। সে কারণে এবার লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেখানে বলা হয়েছে, প্রত্যেকটি জেলাতে রাজ্য সড়কের গুরুত্বপূর্ণ জংশনে যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি, নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৬টি যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। যা দ্রুত জানাতেও হবে। এই যাত্রী প্রতীক্ষালয় নির্মাণের জায়গা স্থির করবেন জেলার পূর্ত দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারেরা। সেই অনুযায়ী যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের স্থান বাছাই করা হবে।
বিরোধীদের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ব্যবহার করে যাত্রী প্রতীক্ষালয় আদতে প্রচারের কাজ করবে। তাঁদের দাবি, শহর কলকাতায় বহু যাত্রী প্রতীক্ষালয় অকারণে তৈরি করা হয়েছিল। একটির মেরামতি না করে পাশেই আরেকটি তৈরি করা হয়েছে। প্রশাসনিক মহলের ব্যাখ্যা, রাজ্য সড়কগুলিতে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা অর্থহীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy