ফাইল চিত্র।
সিপিএমের নবান্ন অভিযানের দিন শান্তিনিকেতনে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ওই প্রসঙ্গে একটি কথাও বলেননি। বৃহস্পতিবার বিজেপির আইন অমান্যের দিন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে মুখ খুললেন বিজেপি প্রসঙ্গে।
কলকাতায় বিজেপির অভিযান প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘৩৪ বছর ধরে সিপিএম পশ্চিমবঙ্গে যা গুন্ডামি করে এসেছে, এ বার তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করছে বিজেপি।’’ মোবাইলে কয়েকটি ভিডিও ক্লিপিং দেখিয়ে মমতা বলেন, ‘‘দেখুন, কী ভাবে পুলিশ, মহিলাকে বাঁশ দিয়ে, ইট দিয়ে, পাথর দিয়ে মারা হচ্ছে। আজ বিজেপি সরকারি সম্পত্তিতে আগুন লাগিয়েছে।’’ সিপিএম এবং বিজেপি-কে একই বন্ধনীতে ফেলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এরা যা করছে, তা উন্মাদ এবং হার্মাদের কাণ্ড। রাজনৈতিক আন্দোলন এ ভাবে হয় না।’’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘‘এটা তো মিটিং নয় সেটিং! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক কেন সবাই বুঝতে পারছেন। তাই ‘ভাইদের’ বাঁচাতে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের দায় ঝেড়ে ফেলতে এখন লোক দেখাতে বিজেপিকে আক্রমণ করছেন তিনি।’’
এ দিন কংগ্রেসকে নির্দিষ্ট করে নিশানা করেননি মমতা। শুধু বলেছেন ‘‘স্থানীয় স্তরে কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি নির্বাচনের সময় নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে চলে।’’ মমতার এই কথা শুনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘‘আসলে নারদা-সারদা অভিযুক্তদের বাঁচাতেই যে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন উনি, সেটা সকলেই বোঝে।’’
এ দিন মোদীর দল রক্ষণাত্মক কেন ছিল, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে। অনেকেই বলছেন, মোদী সরকারের তিন বছর পূর্তির আগে পরিস্থিতি অকারণে উত্তপ্ত করতে চায়নি বিজেপি। রাজ্যের শাসক দলের থেকেও বার্তা ছিল ‘ভালয় ভালয়’ সব মিটিয়ে নেওয়ার। ঘটেছেও
ঠিক তেমনটাই।
এ দিন জনা কয়েক বিজেপি কর্মী সাউথ অ্যাভিনিউয়ে মমতার বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ তাঁদের আটক করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy