Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Mamata Banerjee

মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুরে আসছেন ভালর জন্য, দাবি মনে ‘দিদি’কে স্থান দেওয়া তাপসী মালিকের বাবার

গত পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন মনোরঞ্জন। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই মনোরঞ্জন বলে ওঠেন, “আমি দিদির বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াইনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছিল।”

Manoranjan Malik, father of Tapasi Malik said, always have fond, love and respect for CM Mamata Banerjee

দিদির প্রতি ভালবাসা অটুট তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জনের। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৩ ১৯:২৩
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোটে আর দাঁড়াতে চান না। তবে দল ডাকলে আবার নির্বাচনের কাজে অংশগ্রহণ করতে চান সিঙ্গুরে তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জন মালিক। মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় সিঙ্গুরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে মনোরঞ্জন বলেন, “দিদি সিঙ্গুরে আসছেন মানুষের ভালর জন্যই। এখনও ডাক পাইনি। আমাকে ডাকলেই যাব।”

গত বছর ৩ জুন সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়ায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাজেমেলিয়ায় একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে কামারকুন্ডু উড়ালপুলের উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি মনোরঞ্জনকে। কেন তাঁকে সে দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা যায়নি? প্রশ্ন করায় তিনি অভিমানের সুরে বলেছিলেন, “দিদি আর আমাকে ভালবাসে না!” ১০ মাসের ব্যবধানে আবারও সিঙ্গুরে আসছেন মমতা। এত দিনে যে মনোরঞ্জনের মানভঞ্জন হয়েছে, তার ইঙ্গিত পাওয়া গেল তাঁর কথাতেই। গতবার মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে বক্তব্যে অভিমানের সুর শোনা গেলেও এ বারে প্রিয় ‘দিদি’র প্রতি তাঁর আনুগত্যের কথা জানালেন প্রয়াত তাপসীর পিতা। মনোরঞ্জন বলেন, “আমার মনে দিদির জন্য জায়গা আছে। কারণ আমি দিদিকেই তো ভালবাসি।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “সরকারি অনুষ্ঠানে দিদি আমাকে ডাকে না। ও নিয়ে আমার ক্ষোভ নেই, দুঃখও নেই। কারণ সেখানে সব মানুষ মঞ্চে উঠতে পারে না। এমনি জনসভা হলে আমাকে ডাকে, আমি যাই।”

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন মনোরঞ্জন। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই মনোরঞ্জন বলে ওঠেন, “আমি দিদির বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াইনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের নিজেদের লোক রবীনবাবু এবং তপন দাশগুপ্ত আমাকে বলেছিলেন ভোটে লড়াই করতে। তাই নমিনেশন ফাইল করেছিলাম তৃণমূলের হয়ে। কিন্তু ৪ দিন পরে আমাকে নমিনেশন প্রত্যাহার করতে বলা হল। আমি রাগে প্রত্যাহার করিনি। তাই নির্দল হয়ে গেলাম।” যদিও এই বিষয়টি নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি সিঙ্গুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্তের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সিঙ্গুরের নির্বাচন নিয়ে তিনি কিছু জানেন না, তাই সে বিষয়ে তাঁর কোনও বক্তব্য নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE