প্রতীকী চিত্র।
চিকিৎসা খরচ আদায় করতে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। বিলের টাকা আদায় করতে কোভিড আক্রান্তের মৃতদেহ আটকে রাখা হয় বলে স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ জানান মৃতের স্ত্রী দোলা ঘোষ। সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার অভিযুক্ত হাসপাতালকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মৃত ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের কর্মী ছিলেন। তাই জরিমানার টাকা পুলিশ ওয়েলফেয়ারে জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই রোগীর মৃত্যুর সময় দোলাদের বাড়ির সকলে করোনা আক্রান্ত ছিলেন। ফলে তাঁরা হাসপাতালে যাওয়ার অবস্থায় ছিলেন না বলে জানানো হয়। মৃতের পূত্রবধূ দেহ নিতে গেলে বিল আদায়ের জন্য তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। ওই বেসরকারি হাসপাতালের গ্রুপ সিইও-কে মৃতের পুত্রবধূর কাছে লিখিত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। ‘‘কোনও কারণে হাসপাতালের সিইও লিখিত ক্ষমা চাইতে না পারেন, তাহলে মৃতের পুত্রবধূকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’’ বলেন কমিশনের চেয়ারম্যান।
এ ছাড়াও অপর একটি মামলায় মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানিয় ছিলেন সুজতা ভট্টাচার্য। সুজাতার ৭৩ বছরের মা ভর্তি ছিলেন ওই হাসপাতালে। প্রশ্ন ওঠে হাসপাতালের ব্যবহার নিয়ে। সেই মামলারও শুনানি হয় শুক্রবার। সুজাতা জানান তাঁর মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠলে অন্য হাসপাতালে স্থানন্তরিত করা হয়। হাসপাতাল থেকে রোগীকে ছাডা়র সময় ‘কেস সামারি’ এবং ‘মেডিক্যাল রেকর্ড’ না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ‘‘ফলে পরে যেখানে গিয়েছিলেন সেখানে চিকিৎসা করতে খুব অসুবিধা হয়। কোভিড রিপোর্ট দিতেও প্রায় সাতদিন দেরি হয়।’’ তাই ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান কমিশনের চেয়ারম্যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy