স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মূল অভিযুক্ত ও তার বাবাকে ইতিমধ্যেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেফতার চারজনের মধ্যে তিনজনই প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের নাম বিশ্বজিৎ পাত্র, সমীর মণ্ডল ও সমীর দোলই। ধৃতেরা সকলেই কোলাঘাটের কাঁচরোল গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনায় অভিযুক্ত আরও এক জন পলাতক বলে দাবি পুলিশের। ঘটনার পর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা নির্যাতিতাকে মঙ্গলবার রাতে তমলুক জেলা হাসপাতালে থেকে কলকাতার এসএসকেএমে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বুধবার ধৃত চারজনকে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক অপ্রাপ্তবয়স্ককে হোমে পাঠানোর এবং বাকি তিনজনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পাঁশকুড়ার চাপদা গ্রামের বাসিন্দা ও ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নাবালকের তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। স্কুলে খারাপ আচরণের জন্য গত বছর ওই কিশোরকে স্কুল থেকে ‘টিসি’ দেওয়া হয়। তার পর থেকে সে আর পড়াশোনা করত না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, নির্যাতিতার পরিবার দরিদ্র। তুলনায় আর্থিক ভাবে সচ্ছল ওই কিশোরের পরিবার। ছাত্রীর পরিবার সূত্রে দাবি, সম্পর্কে নাছোড় ওই কিশোরের পীড়াপিড়িতে তারা প্রাপ্তবয়স্ক হলে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিয়েতে কিশোরের পরিবারেরও সায় ছিল বলে ছাত্রীর পরিবারের দাবি। সেই সুযোগে ওই ছাত্রীকে নিয়ে কিশোর প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেত। ছাত্রীটি যে মোবাইল ব্যবহার করত সেটিও ওই কিশোরই কিনে দিয়েছিল বলে দাবি প্রতিবেশীদের। তবে সম্প্রতি দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয় বলে প্রতিবেশীরা জানান।