মদ খেয়ে বাড়ি ফেরার সময় প্রতিবেশীদের মারে মৃত্যু হল এক যুবকের। স্থানীয় সূত্রের খবর, মদ্যপান করে প্রতিবেশীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় বাপি খিলাড়ি নামে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করেন কয়েক জন। পরে তাঁকে বাড়ি ছেড়েও দিয়ে যান অভিযুক্তেরা। অভিযোগ, তার কিছু ক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় ৩৬ বছরের ওই যুবকের। মৃতের স্ত্রীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনাকে গণপিটুনি বলতে নারাজ পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, নারায়ণগড় থানার ভদ্রকালী গ্রামের বাসিন্দা বাপি প্রায়শই মদ্যপান করে বাড়ি ফিরতেন। তবে রাস্তায় যাকেই সামনে পেতেন গালিগালাজ করতেন। সোমবার রাতেও তেমনই কোনও ঘটনা ঘটেছিল। তবে মত্ত বাপিকে বেশ কয়েক জন মারধর করেন বলে অভিযোগ। বাপির স্ত্রী রীতা খিলাড়িও স্বীকার করে নেন স্বামীর মদে আসক্তির কথা। তিনি অভিযোগ করেন, সোমবার রাতে এলাকাবাসীদের কয়েক জন তাঁর স্বামীকে মারধর করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যান। তবে মদ্যপান বা গালাগালির জন্য নয়। বাপিকে মারধর করা হয়েছে ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে। এমনটাই দাবি স্ত্রীয়ের।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট সাত জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন মৃতের স্ত্রী। তাঁদের মধ্যে ছ’জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা জানার চেষ্টা হচ্ছে, কী কারণে ওই যুবককে মারধর করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, রাস্তায় কয়েক জনকে হুমকি দেন বাপি। তার পরেই মারধরের ঘটনা ঘটেছে। জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে। এ পর্যন্ত ছ’জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তদন্ত চলছে।’’