Advertisement
E-Paper

স্কুলে ঢুকতেই ছাত্রীর উপর ছুরি দিয়ে হামলা! গড়বেতায় মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত বাবাও

স্কুল সূত্রে খবর, স্কুলে দশম শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষা চলছে। জখম মেয়েটিও দশম শ্রেণিতেই পড়ে। পরীক্ষা দিতে এসেই আক্রান্ত হয় সে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:২৩

—প্রতীকী ছবি।

মেয়ের পরীক্ষা ছিল স্কুলে। বাবাই সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন। মেয়ে স্কুলের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে যাওয়ার পর কিছু ক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়েও ছিলেন বাবা। তখনই তুমুল চিৎকার-চেঁচামেচি। দৌড়ে ভিতরে গিয়ে দেখেন, মেয়ে রক্তে মাখামাখি! গলা-হাত থেকে সমানে রক্ত ঝরছে। আর এক যুবক মেয়েকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ছুটে মেয়েকে বাঁচাতে গেলে তাঁর উপরেও ছুরি চালিয়ে পালিয়ে যান যুবক! পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানার রসকুণ্ডু হাই স্কুলের ঘটনা। জখম বাবা ও মেয়েকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্কুল সূত্রে খবর, স্কুলে দশম শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষা চলছে। জখম মেয়েটিও দশম শ্রেণিতেই পড়ে। পরীক্ষা দিতে এসেই আক্রান্ত হয় সে। হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই গড়বেতা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ছাত্রীটি থানা চত্বরে দাঁড়িয়ে জানায়, অভিযুক্ত যুবক তাঁকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আগেও এক বার ওই ভাবে জোর করে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার সে বাধা দেওয়ায় তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। মেয়েটির বাবা বলেন, ‘‘মেয়েকে স্কুলে ছেড়ে গেটের বাইরেই ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার, হইহট্টগোল শুরু হয়ে যায় ভিতরে। গিয়ে দেখি, একটা ছেলে আমার মেয়েকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। ওর গলায় আর হাতে লেগেছে। অন্যান্য ছাত্রীরা ওকে বাঁচাতে গেলে তাদেরও ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখায় ছেলেটা।’’ বাবার দাবি, এর আগেও যখন ওই যুবক মেয়েকে জোর করে নিয়ে গিয়েছিল, থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। পরে সেই যুবককে উদ্ধার করে সরকারি হোমে রাখা হয়েছিল।

অভিযুক্ত যুবক ওই স্কুলের নন বলেই জানিয়েছে স্কুল কর্তপক্ষ। তাঁরা জানান, ছাত্রী ও তার বাবাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। স্কুলের নিরাপত্তার বিষয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ করা হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy