Advertisement
E-Paper

গুলিবিদ্ধ যুবকের দেহ খড়্গপুরে

পেশায় রঙের মিস্ত্রি প্রকাশের বাবা মারা গিয়েছেন। বাড়িতে দাদা, বোন ও মায়ের সঙ্গে থাকত সে। শহরে দুষ্কৃতী বলে পরিচিত দীপঙ্কর শুক্ল ও তার সঙ্গীদের সঙ্গে তার মেলামেশা ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৭ ০০:২১
উদ্ধার: কুমোরপাড়ার এখানেই পড়েছিল যুবক প্রকাশ যাদবের মৃতদেহ। নিজস্ব চিত্র

উদ্ধার: কুমোরপাড়ার এখানেই পড়েছিল যুবক প্রকাশ যাদবের মৃতদেহ। নিজস্ব চিত্র

শ্রীনু নায়ডু খুনের পর ফের রেলশহরে ফিরে এল গুলিচালনার স্মৃতি! সোমবার সকালে খড়্গপুর শহরের কুমোরপাড়া থেকে স্থানীয় বাসিন্দা প্রকাশ যাদব (২৩) নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেহের পাশেই পড়ে ছিল একটি পিস্তল। মৃতের পরিজনেদের অভিযোগ, প্রকাশকে খুন করা হয়েছে। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পিস্তল নিয়ে নাড়াচাড়া করার সময়ে ট্রিগার চেপে দেওয়ায় গুলিবিদ্ধ হয় সে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় রঙের মিস্ত্রি প্রকাশের বাবা মারা গিয়েছেন। বাড়িতে দাদা, বোন ও মায়ের সঙ্গে থাকত সে। শহরে দুষ্কৃতী বলে পরিচিত দীপঙ্কর শুক্ল ও তার সঙ্গীদের সঙ্গে তার মেলামেশা ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি। আগে কুমোড়পাড়ায় শ্রীনু বিরোধী শঙ্কর রাওয়ের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল দীপঙ্কর। পরে জামিনে মুক্তি পায় সে।

শ্রীনু খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছে শঙ্কর। পরে গ্রেফতার হয় খড়্গপুরের রেল মাফিয়া হিসেবে পরিচিত বাসব রামবাবুও। এরপর থেকেই দীপঙ্করদের সঙ্গেও যোগাযোগ কমছিল প্রকাশের।

পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে প্রকাশ বাড়ি থেকে জলখাবার খেয়ে বেরনোর কিছুক্ষণ পরেই এই ঘটনা ঘটে। প্রকাশের কপালে গুলি লেগেছে। প্রকাশের মার অভিযোগ, “তাঁর ছেলের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। ছেলে নিজের কাজ নিয়ে থাকত। কালকেও কাজ করে এসে তাঁকে চারশো টাকা দিয়েছিল।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সকালে কাজে যাবে না বলে জলখাবার খেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল। তার পরে বড় ছেলে এসে বলল প্রকাশকে কেউ মেরে ফেলেছে। আমার ছেলেকে কে খুন করেছে জানি না।”

স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, নিজেদের মধ্যে কোনও গোলমাল থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার দাবি, “এলাকার একটি ক্লাব পরিচালনা করে দীপঙ্কর শুক্ল। ওই ক্লাবের গলিতে স্থানীয় যুবকদের মাঝে মধ্যেই নেশা করতে দেখা যেত। ওই গলিতেই প্রকাশের দেহ পাওয়া গিয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রকাশের কপালে গুলির ক্ষত দেখে মনে হচ্ছে, ওকে কেউ খুন করেছে।” এ বিষয়ে ভিন্ন মতও রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ আবার দাবি করছেন, ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে সাজাতেই প্রকাশের পাশে দুষ্কৃতীরা পিস্তল ফেলে রেখে গিয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Crime Murder Kharagpur খড়্গপুর প্রকাশ যাদব
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy