Advertisement
E-Paper

‘বিশ্বাসঘাতক বিধায়ক’, ক্ষোভ শহিদ পরিবারের

বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সাতেঙ্গা বাড়িতে শহিদ শেখ  ইয়াসমিনের পরিবারের লোকজন শুভেন্দুর ফ্লেক্সে জুতোর মালা পরিয়ে দেন। তাতে ‘জুতা পেটা’ করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:৫৮
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

‘শহিদ’ স্মরণে সভা করেছিলেন মাসখানেক আগেই। তাতে জমায়েতও হয়েছিল প্রচুর। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী সেই সভায় তাঁর প্রতি যে সমর্থন দেখা গিয়েছিল, তার কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে বুধবার তাঁর বিধায়ক পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তে। তাঁদের সঙ্গে শুভেন্দু বিশ্বাসঘাকতা করেছেন বলে অভিযোগ করছেন নন্দীগ্রামের ‘শহিদ’ পরিবারের একাংশ।

বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সাতেঙ্গা বাড়িতে শহিদ শেখ ইয়াসমিনের পরিবারের লোকজন শুভেন্দুর ফ্লেক্সে জুতোর মালা পরিয়ে দেন। তাতে ‘জুতা পেটা’ করা হয়।

ইয়াসমিনের ছেলে শেখ শাহারুন বলেন, ‘‘২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে আমাদের পরিবারের কেউ ভোট দিতে যাব না বলে ঠিক করেছিলাম। শুভেন্দুবাবু ফোন করে বাবা-সহ পরিবারের সবাইকে ভোট দিতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ভোট দিয়ে আসার পরে আমার বাবাকে সিপিএমের গুণ্ডাবাহিনী ভোট দিতে যাওয়ার অপরাধে গুলি ও ভোজালি মেরে খুন করে। আর সেই শুভেন্দুবাবু তৃণমূল ছেড়ে দিলেন। নন্দীগ্রামে শহিদ পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। কারও কথা শুনে আমাদের মত বাবাকে যেন কাউকে না আর হারাতে হয়।’’

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ ছেলে শেখ ইমাদুলকে নিহত হতে দেখেছিলেন তাঁর বাবা শেখ দয়ান। তিনি বলেন, ‘‘আমি তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছি। কিন্তু শুভেন্দুবাবু তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করলেন। শুভেন্দুবাবুর এই কাজটা ভাল চোখে দেখছি না।’’

শহিদ পরিবারের এমন ক্ষোভ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বদেশরঞ্জন দাসও। তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। মেদিনীপুরের মাটিতে বহু মনীষীদের জন্ম হয়েছে। আজ জানলাম বড় বিশ্বাসঘাতকের জন্ম হয়েছিল। যে নন্দীগ্রাম মানুষের কথা না ভেবে পদ লোভী হয়ে দল ত্যাগ করলেন।’’

Suvendu Adhikari CPIM TMC Betrayal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy