অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরে এই প্রথম মেদিনীপুরে আসছেন অধীর চৌধুরী। আজ, শুক্রবার দলের এক সভায় বক্তৃতা করবেন তিনি। অধীরকে সংবর্ধনাও দেবেন কংগ্রেস নেতা, কর্মীরা। সেই প্রস্তুতি সারা হয়েছে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম- দুই জেলাতেই কর্মসূচি রয়েছে অধীরের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অধীর প্রথমে মেদিনীপুরে আসবেন। সেখান থেকে ঝাড়গ্রামে যাবেন। মেদিনীপুরে এক সভারও ডাক দিয়েছে যুব কংগ্রেস। যুব কংগ্রেসের এই সভার প্রধান বক্তা অধীরই। মেদিনীপুর শহরের গাঁধীমূর্তির পাদদেশে এই সভা হবে। বৃহস্পতিবার দিনভর দলীয়স্তরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলেছে। যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহম্মদ সাইফুল জানাচ্ছেন, মূলত নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এই সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরোধিতাও করা হবে। সভায় অন্য প্রদেশ নেতৃত্বেরও থাকার কথা।
ক’মাস পরই মেদিনীপুর সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের সাতটি পুরসভায় নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে যুব কংগ্রেসের মেদিনীপুরের এই সভায় অধীরকে এনে বক্তৃতা করানোর সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। তাঁদের মতে, পুরভোটের আগে এখন থেকেই দলীয় কর্মীদের মাঠে নামাতে চাইছেন দলীয় নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, দলের যুবকর্মীরা চেয়েছিলেন মেদিনীপুরের সভায় অধীর আসুন। সেই মতো প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব পাঠান তাঁরা। প্রদেশ নেতৃত্ব অধীরের কাছে দলের যুবকর্মীদের ওই আর্জি জানান। অধীর সেই আর্জিতে সাড়া দেন। মেদিনীপুরের সভায় আসার ব্যাপারে সম্মতি দেন।
‘জাতের কথা বাদ দে, খিদে পেয়েছে ভাত দে’— এমন স্লোগানকে সামনে রেখেই অধীরের সভার সমর্থনে প্রচার চালিয়েছে যুব কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy