ঘাটালের অনুষ্ঠানে। —নিজস্ব চিত্র।
পেনশন প্রাপকদের জন্য ‘স্বস্তি’ প্রকল্প চালু করল ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। এ বার থেকে পিপিও (ফাইনাল পেমেন্ট অর্ডার) আসার পর একদিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট সমস্ত কাজ সেরে পেনশন উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাবে। আর পিপিও আসার পর পেনশন সংক্রান্ত কী নথি প্রয়োজন বা ট্রেজারি অফিসে পিপিও এসেছে কি না তা জানতে বাড়ি থেকে ঘাটাল মহকুমা অফিসেও আসতে হবে না। এর জন্য একটি হেল্প লাইনও চালু করেছে মহকুমা প্রশাসন। মঙ্গলবার ঘাটাল মহকুমাশাসকের দফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের উপস্থিতিতে ‘স্বস্তি’ নামে ওই প্রকল্প চালু করল ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। ঘাটালের মহকুমাশাসক রাজনবীর সিংহ কাপুর বলেন, “অবসর নেওয়ার পর অনেককেই পেনশন পাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করতে হয়। তাঁদের সেই হয়রানি কাটাতেই এই উদ্যোগ ।’’
মহকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর, অবসর নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দফতরে পেনশনের কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর সরকারি নিয়মানুযায়ী পিপিও(ফাইনাল পেমেন্ট অর্ডার) দু’টি ঠিকানায় আসে। একটি পান সংশ্লিষ্ট অবসর প্রাপ্ত কর্মী এবং আর একটি আসে সংশ্লিষ্ট ট্রেজারি অফিসে। নিয়মানুযায়ী, আগে পেনশন উপভোক্তার কাছে ওই চিঠি চলে আসে। তার পর পাঠানো হয় ট্রেজারি অফিসে। বাড়িতে ওই পিপিও অর্ডার পাওয়ার পরই কবে ট্রেজারি অফিসে আসবে বা এসেছে কি না তা জানতে প্রায়ই ভিড় হয় অফিসে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর, এই নতুন প্রকল্পের ফলে সেই কষ্ট আর থাকবেন না। ৭৫৮৫৮৫৪৯৪৭-এই নম্বরে ফোন করলেই যাবতীয় তথ্যই জানতে পারবেন পেনশন উপভোক্তারা।
এই ঘটনায় খুশি পেনশন প্রাপক দীপক রায়, অশোক বেরারা।এ দিন ঘাটাল মহকুমা শাসকের দফতরে তাঁরা বলেন, ‘‘আগে এ সব নিয়ে হয়রানির শেষ ছিল না। এ বার বড় একটা ঝামেলা মিটল। আশা করব,এবার অনান্য ট্রেজারি অফিসেও এই পদ্ধতি চালু হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy