E-Paper

মহিলা ডাক্তারের মৃত্যু: সিল করা হল শৌচাগার

এই শৌচাগার থেকেই শুক্রবার অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৩১ বছরের শালিনীকে। পরে, তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:০৭
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

২৪ ঘণ্টা পরে, শনিবারেও স্পষ্ট হল না তমলুকে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর কারণ। এ দিন তমলুকে শালিনী দাস নামে ওই চিকিৎসকের ভাড়া বাড়ির শৌচাগার ‘সিল’ করেছে পুলিশ। তাঁর ব্যাগে মেলা ওষুধ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বাড়ির ভিতরে পড়ে থাকা রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা।

এই শৌচাগার থেকেই শুক্রবার অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৩১ বছরের শালিনীকে। পরে, তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তমলুক থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে। শুক্রবার রাতে তমলুক মেডিক্যালে ময়নাতদন্তের পরে বাবা ও মামার হাতে শালিনীর দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দেহের ভিসেরার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কাঁথি হাসপাতালের চিকিৎসক শালিনী তমলুকে একাধিক নার্সিংহোমেও যুক্ত ছিলেন। ভাড়াবাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। ছিলেন এক পরিচারিকাও। পুলিশ সুত্রে খবর, শুক্রবার সকালে শালিনী প্রথমে মহিষাদলের এক নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন। সকাল ৯টা নাগাদ তমলুক শহরে একটি নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচারে অ্যানাস্থেটিস্টের দায়িত্বে ছিলেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়লে, প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। হাতে ‘চ্যানেল’ করা হয়। পরে, বাড়ি ফিরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন শালিনী। হাতের ‘চ্যানেল’ খুলে রক্ত পড়ছিল বলে পুলিশ তদন্তে জেনেছে। শালিনীর বাবা নারায়ণ দাস বলেন, ‘‘আমরা এখনও অভিযোগ করিনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে, যা করার করব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Tamluk

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy