Advertisement
E-Paper

প্রথম দিনেই ‘সেঞ্চুরি’ ইংরেজি স্কুলের 

নতুন বছরের শুরু থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের তিন হাইস্কুলে তিনটি হাই স্কুলে প্রাথমিক স্তর থেকে ইংরেজি পড়ানো হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তাতে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে অভিভাবকদের তরফে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০০

নতুন বছরের শুরু থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের তিন হাইস্কুলে তিনটি হাই স্কুলে প্রাথমিক স্তর থেকে ইংরেজি পড়ানো হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তাতে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে অভিভাবকদের তরফে। ওই তিন স্কুলের মধ্যে একটির কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, ভর্তির ফর্ম বিলির প্রথম দিনেই নির্ধারিত আসনের বহু বেশি সংখ্যায় ফর্ম বিলি হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, হলদিয়া মহকুমার ‘বাড় বাজিতপুর গার্লস হাইস্কুল’, কাঁথির ‘জাতীয় বিদ্যালয় ফর গার্লস’ এবং তমলুকের ‘সৈয়দপুর শিক্ষা নিকেতন’কে ইংরেজি মাধ্যম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই তিনটি স্কুলের নতুন প্রাইমারি বিভাগে তিন জন করে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, আগামী ২ জানুয়ারি থেকে পঠনপাঠন শুরু হবে। প্রি প্রাইমারি এবং প্রাইমারি ক্লাসে চল্লিশ জন করে মোট ৮০ জন পড়ুয়া ভর্তি নেওয়া হবে। সেই মতো স্কুলগুলিকে ভর্তির ফর্ম পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফর্ম বিলির প্রথম দিন শুক্রবারই বাড় বাজিতপুর গার্লস হাইস্কুলে ১০০টির’ও বেশি ফর্ম বিলি হয়েছে।

বাড় বাজিতপুর গালর্স হাইস্কুলের প্রাইমারি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকা তনুশ্রী জানা মাইতি বলেন, ‘‘শুক্রবারই আসন সংখ্যা অনুযায়ী ফর্ম বিলি করা হয়েছে। কিন্তু শনিবারও অনেকে ফর্ম সংগ্রহ করতে এসেছিলেন। এ ব্যাপারে আমাদের কী করণীয়, তা জানতে শিক্ষা দফতরকে জানিয়েছি।’’ হলদিয়ার বাসিন্দা মিঠু সামন্ত বলেন, ‘‘ছেলেকে নার্সারি স্কুলে ভর্তির কথা ভেবেছিলাম। প্রশাসন প্রি প্রাইমারিতে ইংরেজি চালু করায় শুক্রবারই ওই স্কুলে গিয়ে ফর্ম তুলেছি।’’

শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, প্রি প্রাইমারি এবং প্রাইমারি স্তরে পাঁচ এবং ছ’বছর বয়সে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। ইংরেজি মাধ্যমে প্রি প্রাইমারি এবং প্রাইমারি ক্লাস থেকে পর্যায়ক্রমে ছাত্রেরা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তে পারবে সংশ্লিষ্ট স্কুলে। পরে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে স্তরে একইভাবে পুরোপুরি ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো শুরু হবে।

অভিভাবকদের মধ্যে সাড়া পড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানসকুমার দাস বলেন, ‘‘প্রথম দিনেই হলদিয়া-সহ জেলার তিনটি স্কুলেই সাড়া পড়েছে। যাঁরা আসন সংখ্যা ভরে যাওয়ার পরেই আবেদন করতে চাইছেন, তাঁদের কথা রাজ্য সরকার বিবেচনা করে দেখছে।’’

Admission Record School
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy