Advertisement
E-Paper

থার্মাল স্ক্যানার নিয়ে বাড়িতে আশা কর্মীরা

এ বার বাড়ি বাড়ি ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের তাপমাত্রা থার্মাল স্ক্যানারে মাপা শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবার দাসপুরের ওই গ্রামে বেশ কিছু বাসিন্দার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন আশা কর্মীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০০:০৫
দোরগোড়ায়: দাসপুরের গ্রামে ঘুরছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

দোরগোড়ায়: দাসপুরের গ্রামে ঘুরছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

গ্রামের এক যুবক ও তাঁর বাবা করোনা আক্রান্ত। নমুনা পরীক্ষায় গিয়েছে মুম্বই ফেরত ওই যুবকের স্ত্রী এবং মায়ের লালারসের নমুনাও। ফলে, দাসপুরের ওই গ্রাম ও লাগোয়া এলাকায় বাড়তি নজর ছিলই। এ বার বাড়ি বাড়ি ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের তাপমাত্রা থার্মাল স্ক্যানারে মাপা শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবার দাসপুরের ওই গ্রামে বেশ কিছু বাসিন্দার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন আশা কর্মীরা। সহায়তা করছেন ভিআরপি (ভিলেজ রিসোর্স পার্সন) এবং সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। তবে কারও সন্দেহজনক কোনও উপসর্গ মেলেনি বলেই খবর।

মুম্বই ফেরত ওই যুবকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পরেই সিল করে দেওয়া হয়েছিল ওই গ্রাম। গ্রামে মোট ১৫৫টি পরিবারের বাস। বুধবার থেকেই আশা কর্মীরা গ্রামে রয়েছেন। বাসিন্দাদের তাপমাত্রা মেপে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। তাপমাত্রা রেজিস্টারে তুলে রাখছেন আশা কর্মীরা। বাড়িতে কতজন সদস্য, আক্রান্তের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কিনা, কাশি বা জ্বর-সর্দি হয়েছে কিনা সব বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে শিশু এবং বয়স্কদের স্বাস্থ্যের প্রতি। ওষুধের প্রয়োজন হলে বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসছেন সিভিক ভলান্টিয়ারেরা।
গ্রামের দুই বাসিন্দা আক্রান্ত হওয়ায় বাসিন্দারা এমনিতেই উদ্বেগে রয়েছেন।আতঙ্ক কাটাতে প্রশাসনের তরফে তাই প্রচার শুরু হয়েছে। স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত ধোওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অযথা আতঙ্ক না করার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। ঘাটালের অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দুর্গাপদ রাউত বলেন, “আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। বাসিন্দাদের তাপমাত্রা মাপছেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”

দাসপুরের করোনা আক্রান্ত যুবকের স্ত্রী, মা শুক্রবারও মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দু’জনকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ওই হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনা পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবারই দু’জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য নমুনা মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই রিপোর্ট মেলেনি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘এখনও রিপোর্ট আসেনি। ওঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’’ বৃহস্পতিবার সড়বেড়িয়া হাইস্কুলের কোয়রান্টিন কেন্দ্র থেকে আক্রান্ত যুবকের জেঠু, জেঠিমা এবং দাদা-বৌদিকেও মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

করোনা আক্রান্ত ওই যুবক এবং তাঁর বাবা ঠিক কতজনের পরোক্ষ সংস্পর্শে এসেছেন, তার হদিশ অবশ্য এদিন পর্যন্ত মেলেনি। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের আশ্বাস, ‘‘ওই দু’জন পরোক্ষভাবে কাদের সংস্পর্শে এসেছেন তা জানার সব রকম চেষ্টা চলছে। বিভিন্নভাবে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। চিহ্নিত করা সম্ভব হলে সংস্পর্শে আসা লোকেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে তাঁদের কোয়রান্টিনে রাখারও ব্যবস্থা করা হবে।’’

corona virus lock down Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy