সেই হোর্ডিং। নিজস্ব চিত্র।
‘টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়’।
এই স্লোগান লেখা ও জোড়াফুল প্রতীক দেওয়া কাট আউট ও হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে গোটা খড়্গপুর শহর। সেখানে জোড় হাতে মদন মিত্রের দাঁড়ানো ছবির নিচে লেখা ‘মদন মিত্র জিন্দাবাদ’। উপরে ‘বন্দেমাতরম্’। এমন হোর্ডিং কারা দিয়েছে তা নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে তৃণমূলে!
বৃহস্পতিবার সকালে রেলশহর খড়্গপুরের প্রবেশদ্বার চৌরঙ্গি থেকে শহরে ঢোকার রাস্তার পাশে দেখা যায় সেই হোর্ডিং। ওই হোর্ডিং সবচেয়ে বেশি নজরে আসে চৌরঙ্গি এলাকায়। শুধু ‘টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়’ নয়, কোনও কোনও হোর্ডিংয়ে লেখা ছিল ‘টাইগার ইন খড়্গপুর’। যা নিয়ে চাঞ্চল্য আরও বেড়েছে। কারণ বৃহস্পতিবার মদন নেতাইয়ে এলেও খড়্গপুর শহরে আসেননি। তবে আজ, শুক্রবার খড়্গপুর-২ ব্লকের বসন্তপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মদন আসতে পারেন বলে কথা রয়েছে। হোর্ডিংয়ের শব্দ চয়নেও আপত্তি রয়েছে শহর তৃণমূলের একাংশের।
সকালে ওই হোর্ডিং দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, মদনের নেতাই সফরকে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকেই ওই হোর্ডিং দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু তৃণমূল জানিয়েছে, দলীয়ভাবে ওই হোর্ডিং দেওয়া হয়নি। খড়্গপুর সদরের তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা কো-অর্ডিনেটর বলেন প্রদীপ সরকার বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে মদনদার আপ্তসহায়কের কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, খড়্গপুরে মদনদার কোনও কর্মসূচি নেই। কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমন হোর্ডিং লাগিয়েছে হতে পারে। তবে ‘টাইগার’ বলে একজন নেতার ছবি দেওয়া ঠিক নয়। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।”
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “বিষয়টি শুনে নেতাইয়েই মদনদাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। উনি খড়্গপুরে যাবেন না বলেই জানিয়েছেন। কারা ওই হোর্ডিং দিয়েছেন তাও জানি না। তবে এই ভাষা আমাদের দলের নীতির পরিপন্থী।’’ একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধে অজিতের মন্তব্য, ‘‘মদনদার ভাগ্য ভাল কেউ বেইমান লেখেনি। আমার কাছে বেইমানের থেকে টাইগার শব্দ বেশি গ্রহণযোগ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy