Advertisement
E-Paper

দোষীদের গ্রেফতারে সময় বেঁধে দিলেন কুণাল

শুক্রবার সকালে আগুন লাগানোর ঘটনা জানাজানি হতেই দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। নন্দীগ্রাম-তেখালি সড়কে সকাল ন’টা থেকে পথ অবরোধ শুরু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৩৫
নন্দীগ্রাম-তেখালি সড়কে অবরোধে শামিল মন্ত্রী শশী পাঁজা। নিজস্ব চিত্র

নন্দীগ্রাম-তেখালি সড়কে অবরোধে শামিল মন্ত্রী শশী পাঁজা। নিজস্ব চিত্র

‘নন্দীগ্রাম দিবস’-এর পরদিনও ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের ‘ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’র মঞ্চে সভা শেষে আগুন লাগানোর অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করলেন শাসকদলের কর্মীরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশকে তিন দিনের সময়সীমাও বেঁধে দিলেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা।

বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে গোকুলনগর করপল্লিতে শহিদ বেদিতে তৃণমূল ও বিজেপি দু’পক্ষের তরফেই শ্রদ্ধা জানানো হয়। শহিদ বেদি থেকে ফুট দশেক দূরত্বে তৃণমূলের ‘ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’র মঞ্চ এবং বিজেপির পৃথক মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। তারপর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তৃণমূলের ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মঞ্চে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুধু আগুন লাগানোই নয়, তাদের দলীয় কর্মী গোপাল গায়েনকে বিজেপির লোকেরা মারধর করেছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। গোকুলনগর অঞ্চল তৃণমূলের তরফে নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে আগুন লাগানোর ঘটনা জানাজানি হতেই দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। নন্দীগ্রাম-তেখালি সড়কে সকাল ন’টা থেকে পথ অবরোধ শুরু হয়। বিকেলে শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা, মন্ত্রী শিউলি সাহা, কারামন্ত্রী অখিল গিরি, রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ, নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান, পীযুষ ভুঁইয়া ও জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র-সহ রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব অবরোধ কর্মসূচিতে শামিল হন। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলে অবরোধ কর্মসূচি।

পরে ঘটনাস্থলে এসে শহিদ বেদি সংলগ্ন এক বাসিন্দার বাড়িতে যান নন্দীগ্রাম থানার আইসি এবং ডি এসপি (সদর)। পরে তাঁদের সাথে কথা বলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষ, সুফিয়ান, নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত গর্গ, নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ স্বদেশ রঞ্জন দাস। মন্ত্রী ও রাজ্য নেতৃত্বের সামনেই নন্দীগ্রাম থানার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় নেতৃত্ব।

কুণাল পুলিশকে বলেন, ‘‘অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। উপযুক্ত ধারায় মামলা করতে হবে। নন্দীগ্রামে বাইরে থেকে প্রচুর অস্ত্র ঢুকছে। দলমত নির্বিশেষে অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে পুলিশ-প্রশাসনকে। তিন দিনের মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার না করলে থানার সামনে অনশন কর্মসূচি নেওয়া হবে।’’ জেলা পুলিশের ডিএসপি (সদর) মহম্মদ মহাইমেনুল হক বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।’’

এ দিন মন্ত্রী শশীর কটাক্ষ, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বলেছেন, কাঁথিতে তিনি সভা করতে আসবেন। সেটা শুনেই বিজেপির এই অবস্থা। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।’’

যদিও এ সবে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ -সভাপতি প্রলয় পালের দাবি, ‘‘শহিদ স্মরণসভার মঞ্চে আগুন লাগিয়েছে তৃণমূলের কর্মীরাই। এখন বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামের মানুষ তৃণমূলকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দেবে।’’

Nandigram Dibas TMC BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy