রেল ব্রিজের উদ্বোধনে দিলীপ ও জুন। নিজস্ব চিত্র।
এক দিকে ‘জয় বাংলা’, অন্য দিকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির মধ্য দিয়ে সূচনা হল মেদিনীপুর স্টেশনের দ্বিতীয় ফুট ওভারব্রিজের। রবিবার একসঙ্গে এর উদ্বোধন করলেন মেদিনীপুর সাংসদ তথা বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং মেদিনীপুর বিধায়ক তথা তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক জুন মালিয়া। ফুট ওভারব্রিজ উদ্বোধনের সময় দুই রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকে। তবে দুই নেতা বললেন, উন্নয়নের কাজে রাজনীতির রং নয়।
যদিও তৃণমূলকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি দিলীপ। বলেন, ‘‘উন্নয়নের কাজে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। রেলের অনুষ্ঠান হলেও এখানে যারা সরকারে আছে তাদের সহযোগিতা দরকার। এক সঙ্গে দুই দলের বিধায়ক ও সাংসদের এই উপস্থিতিতে লাভ হবে মানুষেরই। রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানেও আমাদের বিধায়ক-সাংসদদের ডাকা হবে। সৌজন্যের রাজনীতি হোক।’’ শাসক দল পরিচালিত খড়গপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষকে খোঁচা দিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘রিজার্ভার করেছে রেল, পুরসভা পারেনি। রেল পাল্টালে খড়গপুর পাল্টাবে। রেল-শহরে উন্নয়ন হচ্ছে। খড়গপুরের উন্নয়ন হলে মেদিনীপুরের লাভ হবে। আশা করব বাকি কাজ গুলো হবে।’’
অন্য দিকে জুন বলেন, ‘‘উন্নয়নের কাজে কোনও রাজনীতির রং নয়। দেশের উন্নয়নের জন্য এক সঙ্গে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রাজনীতির রং না দেখাই উচিত। তাই এখানে উপস্থিত হয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন অনেক কাজ করেছেন। রেল নিয়ে তাঁর একটা সফট্ কর্নার রয়েছে। রেল খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।’’
দিলীপের সঙ্গে দেখা হওয়া প্রসঙ্গে জুন বলেন, ‘‘প্রথম বার সাক্ষাৎ হল, খুব ভাল লাগল।’’ এই অনুষ্ঠান শুরুর অনেক আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। গেস্ট রুমে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। সেই সময়ে এসে পৌঁছন বিজেপি সাংসদ। দিলীপ ও জুন একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান। পরে দু’জনকে খোশমেজাজে কথা বলতে দেখা যায়। জুনের জিজ্ঞাসা, ‘‘আপনি তো রোজ হাঁটেন।’’ দিলীপের উত্তর, ‘‘সকালে প্রতিদিনই হাঁটি। কলকাতায় থাকলে ৬টা, জেলায় থাকলে সাড়ে ৬টা, দিল্লিতে থাকলেও সাড়ে ৬টা হয়ে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy