প্রচার: কাঁথির কর্মিসভায় দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
দরজায় কড়া নাড়ছে ভোট। উচ্চ মাধ্যমিক চলায় পুরোদমে প্রচার এখনও শুরু হয়নি। দক্ষিণ কাঁথি কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের আগে তাই রবিবার শাসক, বিরোধী দু’পক্ষই ঘর গুছনোর কাজে ব্যস্ত থাকল।
উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের পর এ বার যে লক্ষ্য বাংলা, কর্মিসভায় এ দিন ফের তা বোঝালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ক্রমশ বাড়ছি। তমলুকে উপ-নির্বাচনে গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় আমাদের ভোট বেড়েছে। তাই তৃণমূল ভয় পাচ্ছে। এ জন্যই শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতাকেও রোজ দু’বেলা মিটিং করতে হচ্ছে। তাঁকে বলতে হচ্ছে বিজেপিকে রুখে দাও।“
বিরোধীদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের ভয় দেখিয়ে এখানে বিরোধীদের লম্ফঝম্ফ কাজে দেবে না। আমরা এখানে দিনরাত সুখে দুঃখে মানুষের পাশে থাকি। দক্ষিণ কাঁথি তাই তৃণমূলের ‘ভদ্রাসন’।’’
এ দিন কাঁথির পুরনো দিঘা বাসস্ট্যান্ডের কাছে এক হোটেলে বিজেপি’র কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন দিলীপবাবু। দক্ষিণ কাঁথি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সৌরীন্দ্রমোহন জানা গত পুর নির্বাচনে কাঁথি শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটে লড়েন। তৃণমূল প্রাথী দিলীপ মাইতির কাছে হেরে যান তিনি। সৌরীন্দ্রমোহনবাবু এই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা। যদিও এ বার সৌরীন্দ্রমোহনবাবু জিতবেন বলে আশাবাদী দলের রাজ্য সভাপতি। তিনি বলছেন, ‘‘তখন আর এখনকার পরিস্থিতির আকাশ-পাতাল ফারাক। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। তবে সব বুথে হয়তো কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না।’’ দিলীপবাবুর কথায়, ‘‘উত্তরপ্রদেশে দলের ভাল ফলের পর কর্মীরা উজ্জীবিত। তাই দক্ষিণ কাঁথি থেকেই রাজ্যে পরিবর্তন শুরু হবে।’’
জয়টা অবশ্য কোনও ফ্যাক্টরই নয়, ব্যবধান কতটা বা়ড়বে তাই নিয়েই চিন্তিত তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার কাঁথি শহরের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে জনমঙ্গল সমিতি হলে এক কর্মিসভায় দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘উপ-নির্বাচনে তৃণমূল কোনও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ভয় পাচ্ছে না। ভোটের ব্যবধান কতটা বাড়বে সেটাই বড় কথা।’’ কর্মীদের কাছে প্রার্থীকে ১ লক্ষের বেশি ভোটে জেতানোর আবেদন জানান শুভেন্দু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy