Advertisement
E-Paper

হামলায় নিহত বিজেপি কর্মী, নিশানায় তৃণমূল

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২০ ০২:৫২
প্রতীকী ছবি। তিয়াসা দাস

প্রতীকী ছবি। তিয়াসা দাস

প্রার্থনা সেরে ফেরার পথে বিজেপি’র কর্মী সমর্থকদের উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলায় শেখ লিয়াকত (৫৫) নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে এগরা-১ ব্লকের বরিদা গ্রামের ওই ঘটনায় আহত অবস্থায় বেশ কয়েকজন এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রের খবর, গত জুলাইয়ে বরিদা গ্রামের ৭ নম্বর বুথে শতাধিক তৃণমূল কর্মী বিজেপি’তে যোগদান দেন। ওই কর্মীদের দাবি, এরপর থেকেই এলাকায় তৃণমূলের কর্মীদের আক্রোশের মধ্যে পড়েত হয় তাঁদের। আমপান পরবর্তী পর্যায়ে এলাকায় তৃণমূলের দুর্নীতির প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলে স্থানীয় বিজেপি কর্মী ও সমর্থকেরা। শেখ লিয়াকত এলাকায় বিজেপি’র সংখ্যালঘু সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিল। তার নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা পথে নেমেছিলেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ শেখ লিয়াকত-সহ ২০-১৫ জন বাড়ির অদূরে ধর্মীয় আচার পালন করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তৃণমূলের আশ্রিত জনা দশেক দুষ্কৃতী তরোয়াল, ছুরি, লোহার রড এবং ইট নিয়ে তাঁদের উপরে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। বিজেপি’র দাবি, হামলায় গুরুতর জখম হন ১৮ জন কর্মী-সমর্থক। তাঁদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনতে গেলে তৃণমূলের দলীয় কার্যলয়ের সামনে ফের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

শুক্রবার রাতে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় লিয়াকত-সহ দু’জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। পথে লিয়াকতের মৃত্যু হয়। অন্যজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতের পরিবারের দাবি, বিজেপি করার ‘অপরাধে’ পরিকল্পিত ভাবে তৃণমূলের বুথ সভাপতির নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। লিয়াকতের ভাই শেখ জামাল বলেন, ‘‘বিজেপি করার অপরাধে আমার দাদাকে তৃণমূলের লোকেরা খুন করেছে।’’ যদিও জেলা পুলিশ সুপার সুনীলকুমার যাদব বলেন, ‘‘ঘটনা অরাজনৈতিক। পারিবারিক সম্পত্তি বিবাদ নিয়ে হয়েছে।’’

লিয়াকতের পরিবার তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগও দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর এলাকায় তৃণমূল কর্মীকে হিসাবে পরিচিত। অশান্তি এড়াতে এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিসি শিবির।

বিজেপি’র জেলা (কাঁথি) সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূলের লোকেরা পরিকল্পিতভাবে দলীয় কর্মীকে খুন করেছে। তৃণমূলকে মদত দিচ্ছে পুলিশ।’’ যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলছেন, ‘‘এখানে রাজনীতি বা তৃণমূলের যোগ নেই। পারিবারিক বিবাদে ওই ঘটনা ঘটেছে।

Crime Murder TMC BJP Egra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy