E-Paper

ভয় না পাওয়ার বার্তা, আগেই কাজ সেরে ফেলা দুই বিএলও-র

নন্দকুমার ব্লকের পরমহংসপুর দক্ষিণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সীমা কর সামন্ত নন্দকুমারের বাসুদেবপুর গ্রামের ১৭১ নম্বর বুথে বিএলও হিসেবে কাজ করছেন।

আনন্দ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৫ ০৪:৪৬
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কাজের ভয় জয় করে হাসিমুখে এসআইআরের দায়িত্ব পালনের বার্তা দিয়েছেন জেলার দুই বিএলও। এক জন নন্দকুমার ব্লকের শিক্ষিকা সীমা কর, এবং অন্য জন হলদিয়ার কিসমৎ শিবরাম নগর-১ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনুপ কুমার পাঁজা।

ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ার কাজে অতিরিক্ত চাপের অভিযোগ তুলেথিলেন রাজ্যের একাধিক বিএলও। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, আর পেরে উঠছেন না জানিয়ে প্রকাশ্যে কান্নাকাটি করছেন। চাপ সহ্য করতে না পেরে কয়েকজন বিএলও আত্মঘাতী হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে শাসক দল তৃণমূল। তারা লাগাতার এসআইআর বাতিলের দাবিও তুলেছে। এই আবহে প্রকাশ্যে সম্পূর্ণ অন্য কথা শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলার দুই বিএলও-র মুখে।

নন্দকুমার ব্লকের পরমহংসপুর দক্ষিণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সীমা কর সামন্ত নন্দকুমারের বাসুদেবপুর গ্রামের ১৭১ নম্বর বুথে বিএলও হিসেবে কাজ করছেন। ওই বুথে ভোটার সংখ্যা ১২৭৫ জন। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ফর্ম বিলি ও তা সংগ্রহ করে ডিজিটাইজ়েশনের কাজ গত মঙ্গলবার সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন সীমা। এর পরেই সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘ভীষণ পরিশ্রমের পরে এখন মোটামুটি নিশ্চিন্ত। মাথা ঠাণ্ডা রেখে, শান্ত মনে একটু সময় নিয়ে করলে খুব ভালভাবেই কাজটি সম্পন্ন হবে। অন্য বিএলও ও ভোটারেরা যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছেন। সর্বক্ষণ পাশে থেকেছেন অফিস আধিকারিকেরা। সবাইকে ধন্যবাদ।’’

সীমা এসআইআরের কাজ করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালনের সঙ্গে কোনও আপস করেনি এবং প্রতিদিন স্কুল করেছেন বলে দাবি করেছেন। টেলিফোনে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি খুব চাপের বলে মানতে পারছি না। শুধু একটু পরিকল্পনা করে করতে হবে। আমি প্রতিদিন রাত ১০টার পরে কিছুসময় ধরে ফর্ম আপলোড করেছি। আবার রাত ২টো থেকে ফর্ম আপলোড করেছি। যে ফর্মগুলিতে তথ্য নিয়ে ত্রুটি ও সমস্যা থাকত, সেগুলিকে আলাদা করে নিতাম। পরে সেগুলি ঠিকঠাক করে আপলোড করতাম। এটাকে আমি মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার সময় পড়াশোনার করার মতো ভেবে কাজ করেছি। খুবই ভাল অভিজ্ঞতা হয়েছে।’’

হলদিয়া উন্নয়ন ব্লকের কিসমৎ শিবরাম নগর-১ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনুপ কুমার পাঁজা ২০৮ বিধানসভা কেন্দ্রের ২৬১ নম্বর বুথের বিএলও। তাঁর বুথে ভোটারের সংখ্যা ১৪২৭। গত ২৪ নভেম্বর তিনি সব ফর্ম ডিজিটাইজ়ড করে ফেলেছেন। আর ২৫ নভেম্বর সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে সমস্ত বিওলও-র উদ্দেশ্যে তিনি বার্তা দিয়েছেন, "বিএলওদের কাছে অনুরোধ, ভালবেসে কাজ করুন, চাপ নেবেন না। দেখবেন কাজ সহজেই হয়ে যাবে। ভেঙে পড়বেন না। হা হুতাশ করবেন না। কাজের চাপ মাথায় চাপতে দেবেন না।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Tamluk

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy