আঁচড়: ছাত্রীর হাতে ছিল এমনই কাটা দাগ। নিজস্ব চিত্র
নীল তিমির খপ্পরে এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার এক নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। সোমবার বিকেলে জানা গিয়েছে, বছর চোদ্দোর ওই কিশোরী ব্লেড দিয়ে হাত চিরে তিমি মাছের ছবি এঁকেছিল। তা দেখে এ দিন চমকে যায় সহপাঠীরা। পরে সব জেনে প্রধান শিক্ষকই ওই ছাত্রীর বাবাকে ফোন করেন। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পরে তাকে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান পরিজনেরা। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ওই ছাত্রী কিছুটা সুস্থ হলে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ছাত্রী ও তার বাবা-মাকে বেলদা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অনলাইন সুইসাইড গেম ব্লু হোয়েল খেলতে গিয়েই এই বিপত্তি বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই ছাত্রীর আচরণে অস্বাভাবিকতা নজরে আসছিল। তবে পেশায় চা দোকানি ওই ছাত্রীর বাবা বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব দেননি। পারিবারিক সূত্রে খবর, ওই ছাত্রীর দিদি একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। তার কাছে স্মার্টফোন রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই দিদির মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকত ওই ছাত্রী। তবে পরিজনেরা কিছুই বুঝতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। ওই ছাত্রীর স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপলকান্তি দত্ত বলেন, “স্কুল ছুটির পরে এক শিক্ষিকা এসে জানান, মেয়েটির হাত চিরে মাছ আঁকা রয়েছে। দিন কয়েক ধরে ওই ছাত্রী ফুলহাতা কামিজ পরে স্কুলে আসছিল। পরে আমি ওই ছাত্রীর বাবাকে ফোনে সব জানাই।’’ কাল, বুধবার ওই ছাত্রীর বাবা-মাকে স্কুলে ডাকা হয়েছে বলেও জানান প্রধান শিক্ষক।
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, “গ্রামের লোকেরা আগে বলেছিল। তবে আমি বুঝতে পারিনি। ইদানীং ওর দিদির মোবাইল ব্যবহার করত। জানি না কী হয়ে গেল!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy