দু’দিন পর মৎস্যজীবীদের জালে উঠে এল মন্দারমণির সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যাওয়া যুবকের দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় কোস্টাল থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে, তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার চার বন্ধুর সঙ্গে মন্দারমণিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা সুরজ বসু (২৪)। দুপুরে একটি হোটেলে ঘর ভাড়া করেন। তার পরেই বন্ধুরা মিলে চলে যান সমুদ্রে স্নান করতে। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে তলিয়ে যান সুরজ। বন্ধুরা বুঝে ওঠার আগেই ঢেউয়ের ধাক্কায় আরও গভীরে চলে যান তিনি।
খবর পেয়ে মন্দারমনি কোস্টাল থানার পুলিশ দ্রুত সুরজের সন্ধানে তল্লাশি অভিযানে নামে। দু’দিন ধরে সমুদ্রের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনার খবর পেয়ে মন্দারমণি যায় সুরজের পরিবারও। সোমবার সকালে মৎস্যজীবীদের জালে সুরজের দেহ আটকে যায়। তাঁরাই দেহটি তুলে আনেন। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃতদেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সুরজ পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন তিনি। বাবা পুলিশ অফিসার। মা স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মী।
আরও পড়ুন:
এই ঘটনার পর আবারও সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর আগেও বেশ কয়েক বার সমুদ্র স্নান করতে নেমে পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও উত্তাল সমুদ্রে পর্যটকদের মৃত্যুর ঘটনা কেন ঠেকানো যাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। যদিও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে দাবি, এই ধরনের ঘটনা ঠেকাতে নজরদারির পাশাপাশি পর্যটকদের সচেতনতাও জরুরি। এ ব্যাপারে বার বার পর্যটকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। তার পরেও অতি উৎসাহে বেপরোয়া কিছু পর্যটক বিপদের তোয়াক্কা না করেই উত্তাল ঢেউয়ে ঝাঁপ দেন। যার পরিণতি মর্মান্তিক হয়ে ওঠে।