Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Duarey Sakar

Lakshmir Bhandar: ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’ বুথভিত্তিক শিবির

এর ফলে মূল শিবিরের ভিড় অনেকটাই এড়ানো যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন।

ঝাড়গ্রাম ব্লকের খালশিউলি হাইস্কুলে দুয়ারে সরকার শিবিরে ভিড়।

ঝাড়গ্রাম ব্লকের খালশিউলি হাইস্কুলে দুয়ারে সরকার শিবিরে ভিড়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর ও ঘাটাল শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২১ ০৭:১০
Share: Save:

‘দুয়ারে সরকারে’র শিবিরে বিপুল ভিড় কমাতে তৎপর প্রশাসন। সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’। তাই নতুন এই প্রকল্পের জন্য বুথভিত্তিক শিবিরের পরিকল্পনা হয়েছে। বুথভিত্তিক শিবিরে শুধুমাত্র ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র ফর্ম দেওয়া এবং জমা নেওয়া হবে। যে এলাকায় যে দিন ‘দুয়ারে সরকারে’র শিবির হবে, সেখানে সে দিনই বুথভিত্তিক অতিরিক্ত শিবির হবে। এর ফলে মূল শিবিরের ভিড় অনেকটাই এড়ানো যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন।

বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তিতে তাড়াহুড়ো না করার বার্তা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের কয়েকটি এলাকায় অতিরিক্ত শিবির হয়েছে। ঘাটাল মহকুমায় ‘দুয়ারে সরকারে’র মূল শিবিরগুলি দুপুরের পর ফাঁকাও হয়ে যায়। জেলাশাসক রশ্মি কমল মানছেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম বুথভিত্তিক দেওয়া এবং জমা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’ প্রশাসন সূত্রে খবর, এ নিয়ে রাজ্যের সুস্পষ্ট নির্দেশও রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জেলাগুলিকে নিয়ে এক ভিডিয়ো বৈঠক করেছে রাজ্য। রাজ্যের তরফে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী প্রমুখ, জেলার তরফে জেলাশাসক। বৈঠকে ভিড় কমাতে রাজ্যের তরফে অতিরিক্ত শিবির আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। পরে রাতে এক লিখিত নির্দেশিকা এসেছে। জেলার কোন এলাকার শিবিরে কত ভিড় হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় কতগুলি অতিরিক্ত শিবির করা প্রয়োজন, সব খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যে এলাকায় যে দিন ‘দুয়ারে সরকার’ হচ্ছে, সেখানকার সব বুথেই কি সে দিন ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র শিবির হবে? জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ‘‘প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে ব্লক প্রশাসন। যত বেশি সংখ্যক বুথ থেকে ফর্ম দেওয়া সম্ভব, দিতে বলা হয়েছে।’’

রাজ্যের নির্দেশ মতো শিবিরে ভিড়ের তথ্য খতিয়ে দেখাও শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে, বুধবার জেলায় ‘দুয়ারে সরকারে’র যে ৩৭টি শিবির হয়েছিল, তার মধ্যে ২৩টিতেই সকাল সকাল ভিড় ছিল হাজারের বেশি। ১৫টি শিবিরে সংখ্যাটা ছিল ১,৫০০- র বেশি। রাজ্যের নির্দেশ, এমনভাবে পরিকল্পনা করুক জেলা, যাতে কোনও শিবিরে ভিড় দেড় হাজার না ছাড়িয়ে যায়। ডেবরা, গড়বেতা- ২, ঘাটাল, কেশিয়াড়ি প্রভৃতি ব্লকে ভিড় কম হচ্ছে। তুলনায় মেদিনীপুর, খড়্গপুরের মতো পুর-এলাকায় ভিড় কম। অতিরিক্ত শিবিরের বিষয়টি নিয়ে বুধবার রাতেই ব্লকগুলির সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করে জেলা। কী করণীয় জানানো হয়।

সার্ভার সমস্যায় বুধবার ঘাটালের একাধিক শিবিরে রাত পর্যন্ত ভিড় ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে অতিরিক্ত শিবির করে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’ আবেদন জমা শুরু হয়। এ দিন ঘাটাল মহকুমায় ৮টি মূল শিবির হয়েছে। সঙ্গে ১১টি অতিরিক্ত শিবিরে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’ নাম নথিভুক্ত হয়। চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের মনোহরপুর ২ পঞ্চায়েতের যাদবপুর হাইস্কুলে ‘দুয়ারে সরকার’ মূল শিবির হয়। গোপালপুর হাইস্কুল, মনোহরপুর শ্রীরামকৃষ্ণ হাইস্কুল ও কুলদহ প্রাথমিক স্কুলে হয়েছে অতিরিক্ত শিবির। চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের ঝাঁকরা হাইস্কুলে মূল শিবির এবং লাগোয়া ক্যাঁচকাপুর, চাঁদা ও মেঠানি প্রাথমিক স্কুলে বাড়তি শিবির হয়েছে। দাসপুরের দু’টি ব্লকেও বাড়তি শিবির হয়।

ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “জেলাশাসকের নির্দেশে মহকুমায় ১১টি অতিরিক্ত শিবির করা হয়েছে। ফলে কোথাও বেশি ভিড় হয়নি।”

এমন বন্দোবস্তে খুশি আবেদনকারীরাও। মনোহরপুরের মুনমুন সাউ, কাকলি দাসরা বলেন, “কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ফর্ম জমা দিয়ে ফিরেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Duarey Sakar Lakshmi Bhandar Scheme
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE