Advertisement
E-Paper

মা-সদ্যোজাতও করোনা আক্রান্ত

কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল সূত্রের খবর, কাঁথি-৩ ব্লকের দেবেন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক প্রৌঢ় কর্মসূত্রের কলকাতায় গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে বাড়ি  ফেরেন। এরপর জ্বরে আক্রান্ত হন ওই প্রৌঢ়।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০১:৪৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

করোনা উপসর্গ যুক্ত এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হল কাঁথি মহকুমা হাপাতালে। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। জেলায় বুধবার নন্দীগ্রাম, তমলুক এবং পটাশপুরেও কয়েকজন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল সূত্রের খবর, কাঁথি-৩ ব্লকের দেবেন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক প্রৌঢ় কর্মসূত্রের কলকাতায় গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে বাড়ি ফেরেন। এরপর জ্বরে আক্রান্ত হন ওই প্রৌঢ়। মঙ্গলবার তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকেরা। গভীর রাতে সেখানেই প্রৌঢ় মারা যান। এ দিন পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই প্রৌঢ় সুগারে আক্রান্ত। সামান্য কাশিও ছিল। মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর করোনা পরীক্ষা করানো হয়, তবে তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। পরে রাতেই তিনি মারা গিয়েছেন।’’

এ দিন ওড়িশায় মারা গিয়েছেন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর ভবতোষ বেরা। তিনি কয়েক দিন আগে ওড়িশায়য চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। পরিবারের দাবি, সেখানে তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। ওখানেই চিকিৎসা হচ্ছিল। এ দিন তিনি মারা যান বলে পারিবারিক সূত্রের খবর। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর উত্তম মহাপাত্র বলেন, ‘‘সপ্তাহ খানেক আগে ভবতোষবাবু অন্য অসুখের চিকিৎসা করাতে ভুবনেশ্বরে গিয়েছিলেন। সেখানে করোনা সংক্রমিত হন। ওড়িশার একটি কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। বুধবার তিনি মারা যান।’’ যদিও এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’’

নন্দীগ্রাম এলাকার এক প্রসূতি এবং তাঁর সদ্যোজাতে’র করোনা হয়েছে। কয়েকদিন আগে ওই প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেন। দু’জনেরই করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার তাঁদের করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে। এ দিন তাঁদের চণ্ডীপুর করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে

এ দিনর তমলুক পুরসভা এলাকার তিনজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। পটাশপুর-২ ব্লকের খাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বছর তিরিশের এক যুবক কর্মসূত্রের কলকাতা গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে জ্বর, সর্দি কাশি উপসর্গ দেখা দেয় তাঁর। লালারসের নমুনা সংগ্রহের পর বুধবার তার করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তাঁকে পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত ১০ জুলাই থেকে বুধবার পর্যন্ত চণ্ডীপুর করোনা হাসপাতালে উপসর্গহীন ১৯৯ জন করোনা আক্রান্ত ভর্তি হয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ১৪৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন । বুধবার চারজন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। বর্তমানে সেখানে ৫০ জন করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন । অন্য দিকে, ২১ জন করোনামুক্ত হয়ে এ দিন ছাড়া পেয়েছেন পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতাল থেকে। এঁদের মধ্যে পাঁশকুড়া সাত, মেচেদার তিন, ময়নার দুই, তমলুকের পাঁচ, হলদিয়ার দুই এবং কাঁথির দুই বাসিন্দা রয়েছেন। বর্তমানে বড়মায় চিকিৎসাধীন ৬৬ জন।

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে—পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১২৮। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৪৮। তার আগের দু’দিন ছিল ১১৫ এবং ১০১। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ১৩৬ এবং ১৪২। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১২৮, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার গড় পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

Coronavirus Health Covid-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy