সহপাঠিনীকে খুনের অভিযোগে ধৃত কিশোরীর প্রেমিক শেখ রফিজুলকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তার দুই সঙ্গী রবিবারই গ্রেফতার হয়। পুলিশের দাবি তারা জানিয়েছে, খুনের আগে কিশোরীকে ধর্ষণও করে রফিজুল। রফিজুল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেনি। তার দাবি, তার প্রেমিকাই খুনের ছক করে। ধৃত কিশোরীর বক্তব্য, সে বান্ধবীকে ভয় দেখাতে বলে, খুনের পরিকল্পনা ছিল না।
রফিজুলকে ধরা হয় সোমবার বিকেলে। তার দুই সঙ্গী-বিশু ঘড়াই ও শেখ উকিল আলিকে এ দিন মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। আর ধৃত কিশোরীকে মেদিনীপুর বালিকা হোমে পাঠায় জুভেনাইল আদালত। পুলিশ সূত্রের খবর, যে গাড়িতে করে নিহত কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার চালক বিশু এবং রফিজুলের সঙ্গী উকিল জেরায় পুলিশকে জানিয়েছে, গাড়িতেই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়।
খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, “ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না মেলা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না ধর্ষণ হয়েছিল কি না।” পুলিশ জানায়, আজ, মঙ্গলবার রফিজুলকে আদালতে তোলা হবে।
মেয়ের দেহ উদ্ধারের পরে নিহত কিশোরীর বাবা খুনের অভিযোগ করেন। এ দিন তিনি বলেন, “মারার আগে মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অনুমান করেছিলাম।” পুলিশ জানিয়েছে, কী ঘটেছিল, তা জানতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। নিহত ও ধৃত বছর ষোলোর দুই কিশোরীরই বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের কোটবাড় গ্রামে। দু’জনে একই স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত। শনিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল নিহত কিশোরী। তদন্তে নেমে পুলিশ জানে, নিহত কিশোরীর দাদার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ধৃত কিশোরীর। মাস তিনেক আগে তা ভেঙে যায়। পরে ধৃত কিশোরীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে রফিজুলের। সম্পর্ক ভাঙার বদলা নিতে ওই কিশোরী রফিজুলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তার সহপাঠিনী, প্রাক্তন প্রেমিকের বোনকে খুনের ছক কষে বলে অভিযোগ।