গুলি বের করার চেষ্টা চলছে। নিজস্ব চিত্র।
রাতের বন্দরশহরে ফের গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ সুতাহাটার হরিবল্লভপুর গ্রামে গুলিবিদ্ধ হলেন শেখ মোসারফ নামে বছর তিরিশের এক কয়লা ব্যবসায়ী। ঘটনায় অভিযোগের তির শেখ রায়হান নামে আরেক কয়লা ব্যবসায়ী দিকে। গুরুতর জখম অবস্থায় মোসারফকে প্রথমে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকেও।
ঘটনার পরই মোসারফের পরিবারের তরফে সুতাহাটা থানায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যবসা সংক্রান্ত ঝামেলা থেকে এই গুলি চালানোর ঘটনা। গুলি চালানো হয়েছে খুব কাছ থেকে। ঘটনার পর থেকে শেখ রায়হান পলাতক। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন বলেন, ‘‘ব্যবসা সংক্রান্ত ঝামেলা থেকেই গুলি চলেছে বলে অনুমান। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুতাহাটার হরিবল্লভপুর গ্রামে হুগলি নদীর ধারে বেশ কয়েকটি ইটভাটা রয়েছে। সেই ভাটাতেই কয়লা সরবরাহ করতেন মোসারফ ও রায়হান। শুক্রবার সন্ধ্যায় নদীর পাড়ে বসে গল্প করছিলেন তাঁরা। সেই সময় ব্যবসা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। আর তখনই রায়হান বন্দুক বার করে মোসারফকে গুলি করে বলে অভিযোগ। গুলি লাগে মোসারফের পেটে। স্থানীয়রা গুলির শব্দে ছুটে আসেন। তাঁরাই মোসারফকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
বন্দর শহরে গুলির ঘটনা নতুন নয়। মাস খানেক আগেই, সুতাহাটায় বাড়িতে এক ছাত্রী গুলিতে জখম হয়েছিল। পরে জানা যায়, বাবার লুকিয়ে রাখা বন্দুক নিয়ে খেলতে গিয়েই ঘটেছিল দুর্ঘটনা। এমনকী ওই ব্যবসায়ীর অবৈধ অস্ত্র নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল। আর শুক্রবারের ঘটনার পরও ওই কয়লা ব্যবসায়ীদের হাতে কীভাবে অস্ত্র এল, উঠছে সেই প্রশ্ন। এমনকী অস্ত্রটির বৈধতা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে পুলিশের। তবে পুলিশের দাবি, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy