মেদিনীপুর আদালতে ধৃত বিজেপি নেতা তন্ময় (সাদা জামা)। নিজস্ব চিত্র
বিজেপি নেতা তন্ময় ঘোষের গ্রেফতারের পরপরই গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। শনিবার রাতে কেশপুরের ঘটনা।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির লোকেরাই গুলি চালিয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা। ধৃত তন্ময় আগে সিপিএমের দাপুটে নেতা ছিলেন। লোকসভা ভোটের পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর হাত ধরে কেশপুরের বিভিন্ন এলাকায় সংগঠন বাড়াচ্ছিল বিজেপি। শনিবার মেদিনীপুর থেকে তাঁর গ্রেফতারের খবরে কেশপুরের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। কেশপুরে অবশ্য পুজোর আগে থেকেই তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। শনিবারও ধামসাইয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে কেশপুরের ছুতারগেড়্যায় পথ অবরোধ করে বিজেপি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর নাম সঞ্জয় সন্ন্যাসী। বছর পঁয়ত্রিশের সঞ্জয়ের বাড়ি কলাগ্রামের থাউরে। শনিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁর পা ফুঁড়ে গুলি বেরিয়ে যায়। তাঁকে শুরুতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার কলকাতার এক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। কেশপুরের তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিকের অভিযোগ, ‘‘দিলীপ ঘোষরা উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছেন। এরফলেই কেশপুরে অশান্তি হচ্ছে।’’ রবিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জখম দলীয় কর্মীদের দেখতে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। তাঁর অভিযোগ, গুলি চালানোর ঘটনার সঙ্গে বিজেপির লোকেরাই জড়িত। বিজেপিই কেশপুরকে অশান্ত করতে চাইছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে
বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, পুলিশ তন্ময় ঘোষকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে। তৃণমূলের লোকেরাই তৃণমূলের লোকেদের মারধর করছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগেই এই গ্রেফতার।’’
গত অগস্টে মেদিনীপুরে এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিজেপি। পুলিশের দাবি ছিল, বিজেপির কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা করেছে। এ নিয়ে পুলিশের তরফে মামলা রুজু করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, সেই মামলার সূত্রেই শনিবার মেদিনীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় কেশপুরের বিজেপি নেতা তন্ময়কে। তাঁর সঙ্গে জাহাঙ্গির আলি নামে এক বিজেপি কর্মীকেও ধরা হয়। রবিবার ধৃতদের মেদিনীপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের চার দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy