মেদিনীপুরে খাবার দেখছেন পরিদর্শকেরা। নিজস্ব চিত্র
শহরের নামী রেস্তরাঁ। সেখানেই হানা দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভার যৌথ দল। মুখ নীচু করে দাঁড়িয়ে কিচেন ম্যানেজার। ফ্রিজের মাংস খুঁটিয়ে দেখে খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক প্রশ্ন করলেন, ‘‘কত দিনের মাংস?’’ কিচেন ম্যানেজার আমতা আমতা করে বলেন, “খুব বেশি দিনের নয়!” খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘বেশি দিনের নয় মানে? দেখে মনে হচ্ছে, দু’সপ্তাহেরও বেশি পুরনো। দশ- বারো দিন তো হবেই। না- হলে এ ভাবে ছত্রাক হয় কী করে? আমরা কি একেবারেই কিছু বুঝি না।” আর কথা বাড়াননি কিচেন ম্যানেজার।
শুক্রবার অভিযানে এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছে মেদিনীপুরের একটি রেস্তরাঁয়। উপ-মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান মানছেন, “কেরানিতলার অদূরের ওই রেস্তরাঁয় রাখা কিছু মাংসে ছত্রাক মিলেছে। পুরনো না- হলে এ ভাবে মাংসে ছত্রাক ধরে না।” এ দিন অভিযানের শুরুতে পঞ্চুরচকের অদূরে কয়েকটি মাংসের দোকানে হানা দেওয়া হয়। পরে শহরের তিনটি নামী রেস্তোরাঁয় পৌঁছয় যৌথ প্রতিনিধি দল। রেস্তরাঁগুলোর রান্নাঘরেও ঢুঁ মারেন ফুড সেফটির কর্তারা। স্টেশন রোডের কাছে এক নামী রেস্তরাঁয় দেখা যায়, বিরিয়ানিও ডিপ ফ্রিজে রাখা রয়েছে। জেলার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক কালীপদ জানা বলেন, ‘‘বাসি মাংস ডিপ ফ্রিজে রাখা থাকবে। মাংসে ছত্রাক ধরবে। সেই মাংস তেল- মশলা দিয়ে রান্না করে লোককে খাওয়ানো হবে। এ সব মেনে নেওয়া যায় না।’’ খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকের সাফ কথা, ‘‘এমন অভিযান চলবে। ওই সব রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy