দগ্ধ: গোলমালের জেরে আগুন দেওয়া হয়েছে লরিতে। নিজস্ব চিত্র
বালি খাদানের শ্রমিকদের মধ্যে গোলমালের জেরে উত্তেজনা ছড়াল গড়বেতার রঘুনাথপুরে। মঙ্গলবার সকালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষও বাধে। জখম হন পাঁচজন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। অশান্তির জেরে একটি লরি এবং চারটি মোটরবাইকেও আগুন ধরানো হয়। আগুন লাগানোর চেষ্টা হয় একটি জেসিবি মেশিনে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। এলাকায় পুলিশি নজরদারি রয়েছে। সংঘর্ষের কথা মানছেন গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ওই বালি খাদানটি বৈধ। কোন পাড়ার লোক কাজ করবে, তা নিয়ে পাড়াগত গোলমাল হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।’’
রঘুনাথপুরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে শিলাবতী নদী। এখানেই রয়েছে বালি খাদানটি। খাদানে কোন পাড়ার লোকে কাজ করবে, তা নিয়ে আগেও অশান্তি হয়েছে। এ দিন গোলমাল চরমে পৌঁছয়। শুরুতে বচসা বাধে। পরে হাতাহাতি এবং সংঘর্ষ। গড়বেতার বালি খাদানে গোলমাল এই প্রথম নয়। অবৈধ ভাবে বালি তোলা হচ্ছে, এই অভিযোগে মাস কয়েক আগে কয়েকটি বালি বোঝাই লরি আটকে রেখে বিক্ষোভ হয় গড়বেতার নোহারিতে। পরে অবশ্য লরিগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ভাবে বালি তোলা হয় বলে অভিযোগ। গড়বেতাতেও এমন অভিযোগ রয়েছে। বালি পাচার রুখতে প্রশাসন বিভিন্ন সময় তল্লাশি- অভিযান চালায়। লরি বাজেয়াপ্ত করে। তাও এমন ঘটনায় রাশ টানা সম্ভব হয়নি। অবৈধ ভাবে বালি তোলার পিছনে পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “অবৈধ বালি পাচার রুখতে বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চলে। প্রয়োজনে নজরদারি বাড়ানো হবে।’’ গড়বেতার বিধায়ক আশিসবাবুরও বক্তব্য, “অবৈধ বালি তোলা ঠেকাতে মাঝেমধ্যে তল্লাশি চালায় প্রশাসন। ধরা পড়লে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy