Advertisement
E-Paper

হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর দেহ! শিক্ষকদের দিকে আঙুল পরিবারের, নওদায় চাঞ্চল্য

মুর্শিদাবাদের নওদা থানার আমতলা এলাকায় একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবাসিক ছাত্রী ছিল ১৪ বছর বয়সি সুহানা খাতুন। মঙ্গলবার হস্টেল থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:১৯
hanging

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

স্কুলের হস্টেল থেকে উদ্ধার হল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার এ নিয়ে শোরগোল মুর্শিদাবাদের নওদা এলাকায়। মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। অন্য দিকে, স্কুলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনছে মৃতার পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের নওদা থানার আমতলা এলাকায় একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবাসিক ছাত্রী ছিল ১৪ বছর বয়সি সুহানা খাতুন। স্কুলের দাবি অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বাকি ছাত্রীরা স্নানের জন্য ঘরের বাইরে ছিল। রুমমেটরা ঘরে ঢুকে সুহানার ঝুলন্ত দেহ দেখে চমকে ওঠে। খবর পেয়ে প্রধানশিক্ষক এবং স্কুল পরিচালন সমিতির বেশ কয়েক জন সদস্য ছুটে যান। তাঁরা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে মেয়েটির। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে।

হস্টেলে ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতার পরিবার থেকে অন্য অভিভাবকেরা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন। বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রধানশিক্ষক। মৃতার বাবা-মায়ের দাবি, স্কুলের তরফে চিকিৎসকদের জানানো হয়েছে মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছে সুহানা, যা সর্বৈব মিথ্যা। তাঁদের অভিযোগ, দেহ উদ্ধারের অনেক পরে তাঁদের খবর পাঠিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। মৃতার কাকা রাসেল হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের না জানিয়ে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরিবারের অনুমতি ছাড়া কী ভাবে ময়নাতদন্ত হচ্ছে, জানি না। আমাদের বাড়ি থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে স্কুল। অথচ আমাদের খবর দিতে চার ঘণ্টা লেগে গেল! আমরা জানতে পেরেছি, এই ঘটনার সঙ্গে স্কুলের তিন শিক্ষক যুক্ত আছেন। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে ওদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’’ মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাজিদ ইকবাল বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিবারের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। সব সম্ভাবনা মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।’’

Student Death School girl mystery death Crime News Murshidabad West Bengal Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy