মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
কেউ খেলেন ধমক। কেউ পেলেন পরামর্শ।
বুধবার ডেবরা অডিটোরিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এই বৈঠকের আগে ওই অডিটোরিয়ামের একটি ঘরেই পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের দলীয় নেতাদের নিয়েও এক বৈঠক করেছেন তিনি।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েছেন ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরিরা। দুর্গেশের ছেলে বিক্রম মল্লদেব সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে দুর্গেশকে ভর্ৎসনা করেন মমতা। তিনি বুঝিয়ে দেন, দুর্গেশ তৃণমূলের প্রার্থী হবেন, তাঁর ছেলে বিক্রম বিজেপির প্রার্থী হবেন, এটা হবে না। রমাপ্রসাদ আগে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন। রমাপ্রসাদকে মমতার বার্তা, তিনি যেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়ে থাকেন। যুব সংগঠনে ‘নাক’ না- গলান।
কেশিয়াড়িতে দলের একটি কোর কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তাঁর নির্দেশ, এই কমিটিতে জগদীশ দাস, বিষ্ণুপদ দে-র মতো দলের পুরনোদের রাখতে হবে। নারায়ণগড়কে সাংগঠনিকভাবে দু’ভাগে ভাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তাঁর মতে, নারায়ণগড় বড় ব্লক। দু’ভাগে ভাগ হলে সাংগঠনিক কাজকর্মের সুবিধে হবে। স্থানীয় বিধায়ক প্রদ্যোৎ ঘোষকে নারায়ণগড়ের ভোটার তালিকায় নাম তোলার নির্দেশ দেন তিনি। প্রদ্যোৎ মমতাকে জানান, তিনি নারায়ণগড়ের ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন জানিয়েছেন।
বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলার সভানেত্রী বিরবাহা সরেনের স্বামী রবিন টুডু। ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের এসটি- এসসি সেলের সভাপতি অর্জুন হাঁসদা। পশ্চিম মেদিনীপুরে দলের এসটি- এসসি সেলের সভাপতি ভদ্র হেমব্রম। মমতা বুঝিয়ে দেন, দু’জনই ঠিকঠাক কাজ করছেন না। রবিনকে তিনি এসটি- এসসি সেলের কাজের উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
সামনেই খড়্গপুর বিধানসভায় উপনির্বাচন রয়েছে। রেলশহরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন নয়। মমতার বৈঠকে অবশ্য খড়্গপুরে দলের প্রথম সারির পাঁচ নেতা পাশাপাশিই বসেছিলেন। মমতাকে এক নেতা খড়্গপুর উপহার দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy