বাঁধের উপরে পোলট্রি ফার্ম তৈরির কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র।
ঘোর বর্ষা শুরু হওয়ার আগে জেলার নদী-খালের বাঁধগুলিতে নজরদারি চালাচে ব্যস্ত জেলা প্রশাসন। বাঁধ ভেঙে কোথাও যাতে বিপর্যয় না হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন আবহে কোলাঘাটে টোপা ড্রেনেজ খালের বাঁধ দখল করেই পোলট্রি ফার্ম তৈরির অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী হয়েছে সেচ দফতর।
কোলাঘাটের বৃন্দাবনচক পঞ্চায়েতের পরমানন্দপুর থেকে সাগরবাড় পঞ্চায়েতের বড়দাবাড় পর্যন্ত সাড়ে ছ’কিলোমিটার দীর্ঘ টোপা ড্রেনেজ খাল পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লকের নিকাশিতে গুরুত্বপূর্ণ। গত বর্ষায় চাপদা এলাকায় টোপা ড্রেনেজ খালের একটি বাঁকে খালের বাঁধে বিপজ্জনকভাবে ধস নামে। মাস চারেক আগে ধসে যাওয়া অংশটি বস্তা দিয়ে ‘পাইলিং’ করে মেরামত করে সেচ দফতর। অভিযোগ, কয়েকদিন আগে রাজকুমার নায়ক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বাঁধের ওই অংশে একটি পোলট্রি ফার্ম তৈরির কাজ শুরু করছে। স্থানীদের আপত্তি সত্ত্বেও সে কাজ করেনি বলে অভিযোগ।
সেচ দফতর সূত্রের খবর, দফতরের এক আধিকারিক দু’বার এলাকায় দিয়ে ওই কাজে বাধা দিয়েছেন। কিন্তু অভিযুক্ত রাজকুমার কাজ থামায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনিক নজর এড়াতে রাতের অন্ধকারে পোলট্রি ফার্ম তৈরির কাজ চলছে। ওই জায়গায় পোলট্রি ফার্ম তৈরি হলে একদিকে যেমন খালের স্রোত বাধা পাবে, অন্যদিকে পোলট্রির বর্জ্য খালে পড়ে দূষণ ছড়াবে। অবিলম্বে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে এলাকাবাসী শনিবার সেচ দফতরের পাঁশকুড়া-২ শাখা অফিসে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। স্থানীয় বাসিন্দা জগদীশ নায়ক বলেন, ‘‘খাল দখল করে নির্মাণ বেআইনি। যে জায়গায় নির্মাণ কাজটি শুরু হয়েছে সেটি খালের একটি বাঁক। খালের স্রোত বাধা পাবে। নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য আমরা সেচ দফতরে লিখিত আবেদন জানিয়েছি।’’ এ বিষয়ে সেচ দফতরের পাঁশকুড়া-২ শাখার এসডিও অভিনব মজুমদার বলেন, ‘‘চাপদায় টোপা ড্রেনেজ খালের বাঁধ দখল করে একটি বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। আমাদের একজন আধিকারিক একাধিকবার এলাকায় গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলেছেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি শোনেনি। ওর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy