চন্দ্রকোনা শহরের গোঁসাইবাজারে দিনেদুপুরে সরকারি জলাশয় ভরাটের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির শাসক দলের দিকে। আর এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাও। ঘটনার কথা স্বীকার করে চন্দ্রকোনা পুরসভার চেয়ারম্যান অরুপ ধাড়া বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। পুকুর ভরাট বন্ধের জন্য আমি নিজে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে জানিয়েছি। পুরসভার তরফ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” চন্দ্রকোনা-২ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক দেবাশিস ধরের কথায়, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
স্থানীয় ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে খবর, চন্দ্রকোনা পুর-শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের গোঁসাইবাজার এলাকায় ওই জলাশয়টি বহু বছরের পুরানো। জমির দাগ নম্বরের হিসেবে এটি পুকুর হিসেবেই রয়েছে। মালিকানা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের। স্থানীয় বাসিন্দারাও এই পুকুরের জল ব্যবহার করে থাকেন। পুরসভার তরফ থেকে পুকুর পরিষ্কার করানো হয় প্রায়ই। সম্প্রতি আচমকা ট্রাক্টরে করে মাটি এনে প্রকাশ্যে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পুর-বাসিন্দারা। খবর পেয়েই চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর লোকেরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। উঠে আসছে তৃণমূলের চন্দ্রকোনা-২ ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারীর গোষ্ঠীর অনুগামীদের নাম। তৃণমূলের চন্দ্রকোনা-২ ব্লক কোর কমিটির এক সদস্যের কথায়, “দলের শ্রমিক সংগঠনের এক প্রভাবশালী নেতা এবং যুব সংগঠনের শহর কমিটির একাংশের মদতেই এই কাজ চলছে। এতে দলের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি আমরা দলের জেলা নেতাদের জানিয়েছি।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে অমিতাভ কুশারী বলেন, “আমি ব্লক সভাপতি। ফলে সবাই তো আমারই লোক। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর তদন্ত করে যাঁদের নাম পাবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে দল নাক গলাবে না।’’
চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া দোলই বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনায় কে বা কারা যুক্ত খোঁজ নিচ্ছি। দলের কেউ জড়িত থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনকেও তদন্ত করতে বলা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy