Advertisement
E-Paper

ধর্মস্থানে সতর্ক পুণ্যার্থী

করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যেই মন্দির খুললেও এ দিন ভক্তদের সংখ্যা ছিল একেবারেই হাতেগোনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২০ ০৩:০৬
সোমবার সুনসান নাচিন্দা মন্দির প্রাঙ্গণ। নিজস্ব চিত্র

সোমবার সুনসান নাচিন্দা মন্দির প্রাঙ্গণ। নিজস্ব চিত্র

রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে সোমবার থেকে খুলল জেলার প্রসিদ্ধ নাচিন্দা ও হটনাগর মন্দির। তবে দর্শনার্থীর
দেখা নেই!

করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যেই মন্দির খুললেও এ দিন ভক্তদের সংখ্যা ছিল একেবারেই হাতেগোনা। এ দিন নাচিন্দা মন্দিরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র তিন জন পুজো দিতে আসেন। কয়েকজন মহিলাও এসেছিলেন অঞ্জলি দেওয়ার জন্য। তাঁদেরই এক জন বলেন, ‘‘করোনা সতর্কতা বিধি মেনে বাড়ি থেকেই জীবাণুনাশক নিয়ে এসেছিলাম। সেইসঙ্গে মাস্ক পরেই মন্দিরে অঞ্জলি দিয়েছি।’’ পূণ্যার্থীদের মতোই সতর্ক ছিল মন্দির কমিটিও। মূল মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ঢোকা এবং বেরোনোর সময় তাঁদের হাত জীবাণুমুক্ত করা হয়। এর জন্য মন্দির পরিচালন কমিটির পক্ষ থেকে সাবান এবং জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যাঁরা অঞ্জলি দিতে এসেছিলেন, তাঁদের হাতে প্রসাদী ফুল দেওয়া হয়নি। অন্নভোগ এদিন চালু না হওয়ায় মন্দিরে সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। মন্দির পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক অনিল মান্নার দাবি, ‘‘করোনার জন্য নিয়ম বিধি মেনেই মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। এক বয়স্ক পুণ্যার্থী মাস্ক না পরায় তাঁকে পুণ্যার্থীদের সতর্ক করে দেন মন্দিরের কর্মচারীরা।’’

এগরায় হটনাগর মন্দির এ দিন সকাল দশটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত খোলা হয়েছিল। তবে এ দিন মন্দিরে পুণ্যার্থীদের আসতে দেখা যায়নি বলে মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানানো হয়ে‌ছে। যদিও করোনা সতর্কতার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে মন্দিরের মূল প্রবেশ দরজার সামনে পুণ্যার্থীদের হাত পা জীবাণুমুক্ত করার জন্য সাবান এবং জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। হটনাগর মন্দিরের সেবায়ত বোর্ডের সম্পাদক স্বপনকর মহাপাত্র বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই বাড়তি সতর্কতায় মন্দির তাড়াতাড়ি বন্ধ করা হয়েছে। সেটুকু সময় খোলা ছিল মন্দিরের ভিতরে সামাজিক দূরত্ব পালন ও সাধারণের জন্য স্যানিটাইজ়ার এবং সাবান রাখা ছিল। সকালে ২০-২৫ জন মানুষ মন্দিরে এসেছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সেই সংখ্যা কমে যায়।’’

দীর্ঘ দিন বাদে এ দিন হিজলি মসনদ-ই-আলা খোলা হয়েথিল। তবে সর্বসাধারণের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। আপাতত হাতেগোনা কয়েকজন প্রবেশ করে নিয়মিত নমাজ পাঠ করেন। কাঁথি মহকুমা এলাকার সবকটি মসজিদ খোলা থাকলেও আনাগোনা ছিল না বললেই চলে। এ ব্যাপারে কাঁথি মহকুমা মুসলিমস রাহ কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, ‘‘৮ জুন কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে নির্দেশ দেবে সেই নিয়মমাফিক মসজিদ খোলা হবে। আপাতত পুরনো নিয়মই মসজিদ খোলা রয়েছে।’’

Coronavirus in Midnapore Coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy