Advertisement
E-Paper

বন্ধ আয়ুষ কোভিড হাসপাতাল

নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র চালু থাকায় হাসপাতালটি এখনই কর্মী শূন্য করা হচ্ছে না বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৩৪
—ফাইল চিত্র

—ফাইল চিত্র

কয়েকদিন ধরে রোগীশূন্য ছিল। তাই বুধবার থেকে মেদিনীপুরের আয়ুষ কোভিড হাসপাতালটি বন্ধ করা হল। এই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের একে একে তাঁদের পুরনো কর্মস্থলে ফেরানো হচ্ছে। তবে হাসপাতালে করোনার নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রটি চালু থাকছে আপাতত। এই নিয়ে মেদিনীপুরে দু’টি কোভিড হাসপাতাল বন্ধ হল। জেলাশাসক তথা করোনা মোকাবিলায় গঠিত জেলাস্তরের টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান রশ্মি কমল এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আয়ুষ কোভিড হাসপাতালটি আর চালু থাকছে না। জেলায় করোনা সংক্রমণ কমছে। আর সেই কারণেই সবদিক দেখে হাসপাতালটি বুধবার থেকে বন্ধ করা হয়েছে।’’

নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র চালু থাকায় হাসপাতালটি এখনই কর্মী শূন্য করা হচ্ছে না বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। বিষয়টি নিয়ে বুধবার জেলাশাসক রশ্মি কমলের সঙ্গে কথাও বলেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন জেলাশাসক। আয়ুষ কোভিড হাসপাতাল ছিল আবাসের অদূরে। নবনির্মিত আয়ুষ হাসপাতালটিকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। অন্যদিকে, আয়ুষ স্যাটেলাইট কোভিড হাসপাতাল ছিল তাঁতিগেড়িয়ায়। করোনা সংক্রমণ কমতে থাকায় গত মাসেই তাঁতিগেড়িয়ার হাসপাতালটি বন্ধ করা হয়েছে।

বন্ধ হওয়া দু’টি হাসপাতালেই ১০০টি করে শয্যা ছিল। দু’টি হাসপাতাল বন্ধ হওয়ায় করোনা রোগীদের বরাদ্দ শয্যা ২০০টি কমল। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অবশ্য দাবি, করোনা চিকিৎসায় শয্যার অভাব হবে না। শালবনির কোভিড হাসপাতালেই ২০২টি শয্যা রয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যালের এইচডিইউ-তে ৪০টি শয্যা রয়েছে। ‘সারি’ ওয়ার্ডে ১০০টি শয্যা রয়েছে। নতুন করে এখানে আইসোলেশন ওয়ার্ডও গড়ে তোলা হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আয়ুষ কোভিড হাসপাতালটি পরে আয়ুষ হাসপাতাল হিসেবে কাজ শুরু করবে।

কোভিড হাসপাতাল বন্ধ হওয়া একপ্রকার স্বস্তি জেলাবাসীর কাছে। এক সময়ে জেলায় দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল দেড় শতাধিক। এখন সংখ্যাটা ৪০-৫০ এর আশেপাশে থাকছে। সংক্রমিতদের বেশিরভাগই ‘হোম আইসোলেশনে’ থাকছেন। তবে লোকজন অসতর্ক হলে ফের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, ‘‘মাস্ক পড়ে থাকা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মানতেই হবে। করোনা স্বাস্থ্যবিধিগুলো মানতে হবে অন্তত টিকাকরণ না হওয়া পর্যন্ত। না হলে সংক্রমণের আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যায়।’’

Coronavirus Covid-19 Ayush Covid Hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy