কোলাঘাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পুলিশ-জনতা বিতণ্ডা। নিজস্ব চিত্র।
ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভিড টিকার কালোবাজারির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে। সোমবার রাতের অশান্তির ঘটনার জেরে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
১টি টিকা ৫০০টাকা। দু’টি টিকা ৮৩০টাকা। কোলাঘাটের সরকারি হাসপাতালের ভেতর এ ভাবেই টিকার দর হেঁকে কালোবাজারির অভিযোগ ওঠে সোমবার সন্ধ্যায়। ঘটনাটি প্রচার হতেই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চত্বরে জড়ো হয় উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ এবং ব্লক আধিকারিক ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ চলে। পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দাদের উত্তপ্ত বাদানুবাদও হয়। গভীর রাতে পুলিশি হস্তক্ষেপে শান্ত করা হয় বিক্ষোভকারীদের।
গোটা ঘটনা নজরে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি মঙ্গলবার বলেন, ‘‘অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। বিষয়টি জানার পরেই জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ করোনাভাইরাসের টিকার কালোবাজারির অভিযোগ খতিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, সরবরাহ কম থাকায় এখন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ জায়গায় প্রথম টিকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। দ্বিতীয় টিকা হিসেবে কোথাও কোথাও দেওয়া হচ্ছে আগে থেকে মজুত থাকা কোভিড টিকা। তবে কোলাঘাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রথম এবং দ্বিতীয় টিকাকরণ বন্ধ রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এরই মাঝে সোমবার কোলাঘাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতর চুপিসারে করোনা টিকা দেওয়ার ঘটনা নজরে আসে হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়দের। এমনই এক রোগীর আত্মীয় কোলাঘাটের বাসিন্দা পূজা চক্রবর্তীর দাবি, “আমার ভাই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এখানে দু’দিন ধরেই রয়েছি। দেখলাম ভিতরে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাইতে প্রথমে বলা হল, ‘আপনাদের জন্য টিকা নেই’। এরপর টাকা দিতে চাইতেই বলল, ‘একটির জন্য দিতে হবে ৫০০ টাকা। দু’টি চাইলে কিছুটা ছাড়ে দাম পড়বে ৮৩০টাকা’।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy