ভিড়ে ঠাসা দিঘার ছবি
একে সপ্তাহান্ত। সঙ্গে দোসর দোল উৎসব। অতিমারির বন্দিদশা কাটিয়ে শুক্র, শনি, রবি— দিন তিনেকের টানা ছুটিতে সৈকত শহর দিঘায় আছড়ে পড়তে পারে বিপুল জনস্রোত। আগাম বুকিংয়ের ঢল দেখে আপ্লুত হোটেল ব্যবসায়ীরা। অন্য দিকে, ভিড় সামাল দিতে এবং সমুদ্রস্নানে দুর্ঘটনা এড়াতে কড়া প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ প্রশাসনও।
দোলের আগেই দিঘার ৬৫ শতাংশ লজ ও হোটেলের ঘর বুকিং হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীরা। তাঁদের ধারণা, বাকি যা ঘর ফাঁকা রয়েছে, তা-ও শুক্রবারের মধ্যে বুক হয়ে যাবে বলে তাঁদারে আশা। দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দিঘায় থিকথিকে ভিড় জমে যাবে বলে মনে হচ্ছে। এ বার অনলাইনে প্রচুর হোটেল বুকিং হয়েছে। প্রায় ৬৫ শতাংশ হোটেল বুকিং ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।’’
বছর শেষের ছুটিতে দু’এক দিনের জন্য দিঘায় ভাল ভিড় হলেও আচমকা করোনা বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছিলেন অনেক পর্যটক। এ বার দিঘায় পর্যটকদের যাতে হোটেল পেতে সমস্যা না হয়, তার জন্য অনেক রাত পর্যন্ত ওল্ড দিঘার হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের দফতরও খোলা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিপ্রদাস। তিনি বলেন, ‘‘করোনার কারণে হোটেল ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এ বার তা খানিক ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। মুখ তুলে তাকাচ্ছেন মা লক্ষ্মী। দোলের দিন ভিড় সামলাতে রাত ১২টা পর্যন্ত সৈকতে পর্যাপ্ত নুলিয়া, পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা নজরদারি চালাবেন।’’
তবে পর্যটকদের একাংশের অভিযোগ, বেশ কিছু হোটেলে ঘর নিতে গেলে বাড়তি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। যদিও ওই দাবি মানতে নারাজ দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রশান্ত পাত্র। তাঁর কথায়, ‘‘জেলাশাসক ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। এমন ঘটনা নজরে এলে কড়া হাতে তার মোকাবিলা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy