নুলিয়াদের বোটে চাপিয়ে নজরদারির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।
সামনেই বড়দিন। তারপর ইংরেজি বর্ষবরণ। সব মিলিয়ে পর্যটনের ভরা মরসুম। এই সময় ভিড়ে সমুদ্রস্নানে নামা পর্যটকদের উপর নজরদারি চালাতে এসেছে বেশ কয়েকটি বোট। আর সেই সব জলযান চালাতে নুলিয়াদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (ডিএসডিএ)।
২২ নভেম্বর থেকে নুলিয়াদের বোট চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে বোটে বাতাস ভরতে হবে, বোটে চেপে কোনও বিপন্ন পর্যটককে উদ্ধার করতে হবে সেই সব কৌশল হাতে-কলমে শেখানো হয়েছে। প্রশিক্ষণ চলেছে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। ডিএসডিএ সূত্রের খবর, সৈকত শহর দিঘায় থাকবে ৫টি এবং মন্দারমণিতে ৫টি বোট। ইতিমধ্যে ওই সব বোট চলে এসেছে দুই সৈকতে। এই বোটগুলিতে ২৫জন নুলিয়া থাকবে। যতক্ষণ পর্যটকরা সমুদ্রে নেমে স্নান করবেন, ততক্ষণ বোটে চেপে সমুদ্রে নজরদারি চালাবে নুলিয়ারা। ডিএসডিএ এবং প্রশাসন সূত্রের খবর, দিঘা এবং মন্দারমণি মিলিয়ে ৬৩জন নুলিয়া রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৫জনকে বোটে নিয়োগ করা হচ্ছে।
দিঘা এবং মন্দারমণিতে প্রচুর ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। সেখান থেকেই সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালান নুলিয়া এবং সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। তারপরেও উত্তাল সমুদ্রে নেমে এ বছরই তলিয়ে গিয়েছেন বেশ কয়েকজন পর্যটক। ডিসেম্বরে পর্যটকদের ঠাসা ভিড়ে আবার তেমন বিপদের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন। তাই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। নুলিয়ারা কোন কোন ঘাটে নজরদারি চালাবেন, এত দিন তা ঠিক করত দিঘা এবং দিঘা মোহনা থানার পুলিশ। তবে এ বার থেকে নুলিয়াদের নজরদারির এলাকা ঠিক করবেন ডিএসডিএ কর্তৃপক্ষ। দিঘায় ‘গ্রিন গার্ড’ও রয়েছে ৫৭ জন রয়েছে। তাঁদেরও নির্দিষ্ট জ়োন ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এগজিকিউটিভ অফিসার অপূর্বকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘যে সব নুলিয়া বোট চালাবেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আর গ্রিন গার্ডদের জন্য পৃথক জ়োন হয়েছে। ডিসেম্বরে পর্যটকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে।’’
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, নতুন করে শতাধিক নুলিয়া নিয়োগ করা হয়েছে। এবং কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সেই নিয়োগ হয়েছে। কাঁথির মহকুমাশাসক শৌভিক ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, ‘‘এ ধরনের কথা কানে এসেছে। তবে নতুন নুলিয়া নিয়োগের অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। নুলিয়া আর গ্রিন গার্ড কর্মীদের বরং নতুন করে দায়িত্ব বন্টন করা হচ্ছে।’’
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে খুশি পর্যটকেরাও। কলকাতার সিঁথি থেকে বেড়াতে আসা বিশ্বনাথ চৌধুরী বলছিলেন, ‘‘অনেকেই মদ্যপ অবস্থায় সমুদ্রে নেমে যান। তাঁদের অনেক সময় বাঁচানো যায় না। তাই সমুদ্রেবোটে চেপে নুলিয়ারা নজরদারি চালালে সলিল সমাধি আটকানো যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy